‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবির শুটিং ফ্লোরে কবীর খান ও কার্তিক আরিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।
প্রশ্ন: বহিরাগত হওয়ায় আপনাকে অনেকটা লম্বা সময় পক্ষপাতিত্বের সম্মুখীন হতে হয়েছে। নিজেকে কী ভাবে চাঙ্গা রেখেছেন এত বাধার সামনেও?
কার্তিক: আমি প্রথম দিন থেকেই হার না মানার মনোভাব নিয়ে কাজ করেছি। স্বীকার করতে বাধা নেই, বিরোধিতা অনেক এসেছে। আমার কাজের মধ্যে দিয়ে আমি সেই সব অতিক্রম করেছি। কোনও ছবিতে যখন আমি কাজ শুরু করি, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমি লক্ষ্যে স্থির থাকি। শুধু বলা নয়, আমি সেটা কাজে প্রমাণ করতে পছন্দ করি। পক্ষপাতিত্ব থেকে দূরে থাকি। কারণ বিশ্বাস করি, কাজের জন্য পরিচিত হওয়া যায়, কোনও গোষ্ঠীর দ্বারা বা পক্ষপাতিত্বের দ্বারা নয়।
প্রশ্ন : পেশার এই পর্যায়ে এসে আপনি কি নিজেকে এখনও বহিরাগতই মনে করেন?
কার্তিক: এখনও আমি বাইরেরই একজন, এখনও একাকী যোদ্ধা।
প্রশ্ন: বক্স অফিসের চাপ কার্তিক কতটা অনুভব করেন?
কার্তিক: অনেকটাই! অতীতে আমার ছবিকে নিয়ে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সাফল্যের স্বাদগ্রহণও করেছি। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলছি, প্রত্যেকটি ছবির আলাদা ভাগ্য হয়, আর দর্শকও ভিন্ন। ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর গল্প খুব অনুপ্রেরণামূলক, ‘মুরলীকান্ত পেটকার’ এর গল্প বলাটা খুব জরুরি ছিল। আমার মতে, ‘বায়োপিক’ খুব কঠিন ধারার ছবি। দর্শক ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর ট্রেলার যে ভাবে পছন্দ করেছেন, সেই ভাবে যেন প্রেক্ষাগৃহে এসে আমাদের ছবিটাও দেখেন।
প্রশ্ন: এত খ্যাতির পর আপনি এখনও কি সেই পুরনো দিনের কথা ভাবেন, যখন আপনি মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতেন?
কার্তিক: মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে এক বার চড়লে সেটা ভোলা অসম্ভব। আমি ট্রেনে করেই ‘অডিশন’ দিতে যেতাম আর আমার সঙ্গে সব সময় একজোড়া বাড়তি জামাকাপড় থাকত। অনেক বার এ রকমও হয়েছে, আমি স্টেশনেই জামা বদলে ‘অডিশন’ দিতে গিয়েছি। খুব কষ্ট হত, যখন আড়াই ঘণ্টা ট্রেনে চড়ে গিয়ে ‘অডিশন’ দেওয়ার পরও সুযোগ পাইনি। এমনও দিন গিয়েছে, যখন ‘অডিশন’ দেওয়ার সুযোগও পাইনি, লাইনে দাঁড়ানোর আগেই জবাব পেয়েছি— ‘অডিশনের জন্য মানানসই নই’। সংগ্রামের দিনগুলোয় আমার জীবন লোকের কাছ থেকে ধার নিয়ে চলত, তাই প্রত্যেকটা ‘অডিশন’ আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: কেরিয়ারের শুরুতেই আপনি ‘ফ্রেডি’, ‘সত্য প্রেম কি কথা’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর মতো ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন। সঠিক চিত্রনাট্য আপনার জন্য কতটা জরুরি?
কার্তিক: আমি কোনও নির্দিষ্ট ধারার ছবি ভেবে করব বলে করি না, চিত্রনাট্য পছন্দ হওয়াটা আমার ছবি নির্বাচনের প্রাথমিক কারণ। কোনও একটি নির্দিষ্ট ধারার চরিত্র বা ছবি জনপ্রিয় হলে আমি সেটা আঁকড়ে ধরে থাকি না।
প্রশ্ন: ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ আপনার কেরিয়ারে কি বড় পরিবর্তন আনবে?
কার্তিক: এই ছবির জন্য কঠিন প্রস্তুতি এবং শুটিং আমাকে ইতিমধ্যে অনেক কিছু দিয়েছে, আমার জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। তেলযুক্ত কোনও খাবার খেলে আমার মাথার মধ্যে চিন্তা চলতে থাকে, কী ভাবে সেটা আমি ‘ওয়ার্কআউট’ করে, ক্যালরি ঝরিয়ে, শরীর সুস্থ রাখব। এখন একটাই আশা, দর্শক ছবিটাকে ভাল বলুন। ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ আমাকে নিজের থেকেও কাজকে আরও ভালবাসতে শিখিয়েছে, সেটাও একটা বড় প্রাপ্তি।
প্রশ্ন: ছোটবেলায় খেলাধূলা নিয়ে কতটা আগ্রহী ছিলেন?
কার্তিক: ফুটবল আর ক্রিকেট আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা এবং সত্যি বলছি, আমি ভীষণ ভাবে প্রতিযোগিতামনস্ক। কিন্তু ‘চন্দু’র শুটিংয়ের সময় বক্সিং আর সাঁতার খুব মন দিয়ে শিখেছি। সম্প্রতি আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখতে গিয়েছিলাম, ফিগো, কাফু, লুই গার্সিয়া— এঁদের এত কাছ থেকে দেখে আমি আমার ছোটবেলায় ফেরত চলে গিয়েছিলাম প্রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy