শ্রেয়া ঘোষাল।
মাত্র ১০ দিনে ৮৪ লক্ষ বার গানের ভিডিয়োটি দেখা হয়েছে। ৬৪ হাজার ‘লাইক’। ভাই সৌম্যদীপ ঘোষালের সঙ্গে জুটি বেঁধে যে গান তৈরি করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল, তা ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমের পরিভাষায় ‘ভাইরাল’। লাফিয়ে বাড়ছে ‘ভিউ’, মন্তব্য এবং নেটমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা। ‘আও সজন অঙ্গনা মোরে’ গানটি লেখা এবং সুরারোপ শ্রেয়ার। লকডাউন চলাকালীনই গানটি লেখেন এবং সুর করেন বর্তমানে বলিউডের অন্যতম সেরা এই শিল্পী। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে ইলেকট্রিক পপ মিউজিকের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে গানটি।
ভাই সৌম্যদীপ শুধু প্রযোজকই নন, এই গানে দিদির সঙ্গে গিটার বাজাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। মজার কথা, গানটি পুরোপুরি তৈরি হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেমন তবলা বাজিয়েছেন নিতীন মিট্টা, তিনি যোগ দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক থেকে। এই গানে সঙ্গত করেছে বুদাপেস্ট সিম্ফোনি অরকেস্ট্রা। বাঁশি বাজিয়েছেন রাজীব প্রসন্ন।গানের কোরিওগ্রাফি শক্তি মোহনের। নাচে মুক্তা নাগপাল ও পার্থ সারথি। শ্রেয়ার ভাই গিটার বাজিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে। তাঁকে দেখাও গিয়েছে ভিডিয়োটিতে। সব মিলিয়ে, গানটি হয়ে উঠেছে প্রকৃতার্থেই বিশ্বজনীন। এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়া নিজেই বলেছেন, তিনি ভারতীয় রাগসঙ্গীত-সহ বিভিন্ন গানবাজনা যা শোনেন, সে সব মাথায় রেখেই গানটি বেঁধেছেন। মূলত প্রেমের গান। প্রথমে বিরহ এবং পরে মিলন। ভারতীয় মিশ্র রাগের সঙ্গে ইলকট্রিক পপ সঙ্গীতের যন্ত্রানুসঙ্গ এবং কোরিয়োগ্রাফির মধ্যে দিয়ে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে।
গানের একটি দৃশ্যে ভিডিয়ো প্রোজেকশন এবং অন্য প্রযুক্তির মধ্যে দিয়ে শ্রেয়ার মুখমণ্ডল থেকে প্রজাপতি প্রকাশ পাওয়া এবং সেই প্রজাপতি উড়ে যাওয়ার ছবি দেখা। যে ছবি থেকে ইতিমধ্যেই শ্রেয়ার ভক্তরা হ্যাশট্যাগ ‘অঙ্গনা মোরে’ ফিল্টার দিয়ে নিজেরা গানটি গেয়ে সেই ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
দিন দুই আগে শ্রেয়া নিজের ইন্সটাগ্রামে গানটি তৈরির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। গানের এক দৃশ্যে দেখা যায়, মহাশূন্য থেকে নৃত্যশিল্পী মুক্তা যেন পড়ে যাচ্ছেন। শ্রেয়া লিখেছেন, ‘অনেকেই জানতে চাইছেন, কী ভাবে এই দৃশ্যটি শ্যুট করা হয়েছিল। এ বার দেখুন পর্দার ওপারের সেই দৃশ্য ’।
সব মিলিয়ে বলতেই হচ্ছে, শ্রেয়ার নিজের লেখা এবং সুরোরপিত প্রথম এই প্রচেষ্টা সাফল্যের শিখরে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জন্ম শ্রেয়ার। ৪ বারের জাতীয় পুরস্কার জয়ী বলিউড পেরিয়ে যেন এখন তিনি বিশ্বনাগরিক। সৌজন্যে ‘অঙ্গনা মোরে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy