রাইপুরে বাঁকুড়ার সাংসদ। বৃহস্পতিবার উমাকান্ত ধরের তোলা ছবি।
তাঁকে দেখা গিয়েছিল গত বছর হুল দিবসের অনুষ্ঠানে। সে বার রাইপুরের ফুলকুসমায় আদিবাসীদের সঙ্গে নেচেছিলেন। মাস ছয়েক পরে ফের তাঁকে দেখা গেল ফুলকুসমা, রাইপুর, মটগোদা, সাতপাট্টা এলাকায় তৃণমূলের নির্বাচনী সভায়। তিনি বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ শ্রীমতী দেববর্মা ওরফে মুনমুন সেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকটি গ্রামে তিনি তৃণমূল প্রার্থী বীরেন্দ্রনাথ টুডু ও জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘোরেন। মঞ্চে অভিনেত্রী-সাংসদ বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলে আমার তো আসার দরকারই নেই। আমাদের দিদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জঙ্গলমহলে আসছেন। এলাকার প্রচুর উন্নতি করেছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, গরিবমানুষদের জন্য চাল, বিদ্যুৎ, জল, পড়ুয়াদের সাইকেল থেকে জুতোর ব্যবস্থাও করেছেন দিদি।’’ তাঁর দাবি, এত উন্নতি তিনি আগে দেখেননি।
তবে মুনমুনকে এলাকায় দেখা যায় না বলে বিরোধীরা যতই অভিযোগ করুক, এ দিন মটগোদায় তাঁকে দেখার জন্য রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়েছিল জনতার ভিড়। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে।
এলাকায় কাজ হওয়ার ফিরিস্তি মুনমুন শোনালেও মটগোদার সভায় তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এলাকার দু’তিনজন যুবক সাংসদের কাছে জানতে চান, ওই এলাকায় রাস্তার ধারে একটি হাইমাস্ট পথবাতি লাগানো হলেও এখনও আলো জ্বলেনি কেন? সাংসদ সঙ্গীদের কাছে খোঁজ নিয়ে দাবি করেন, ‘ওটা হয়ে যাবে।’’ তাঁর পাশে থাকা মেলেড়ার পঞ্চায়েত প্রধান রাজু সিং দাবি করেন, ‘‘কাজ শেষ। ভোটের জন্যই উদ্বোধন আটকে। মুনমুনদি পরে ওটা উদ্বোধন করবেন।’’ যদিও বাসিন্দাদের দাবি, মানখানেক আগে ওই আলো লাগানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy