প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: পিটিআই।
নীলবাড়ির লড়াই পর্বে বিজেপিতে যোগদানের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। তার মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীর যোগদান ছিল অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেডে সমাবেশের মঞ্চে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে উপস্থিত হন মিঠুন। সে দিনই তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিজেপি-র পতাকা। ‘জাত গোখরো’র জনপ্রিয় সংলাপে সে দিন মেতেছিল ব্রিগেড। যদিও এর পর বেশ কিছু দিন রাজ্যে ছিলেন না মিঠুন। তার পর তিনি ফিরে আসেন রাজ্যের ভোটার হয়ে।
একটা সময় মনে হয়েছিল রাজ্যে বিজেপি-র মুখ হয়ে উঠতে পারেন মিঠুন। কিন্তু তাঁকে প্রার্থীও করেনি বিজেপি। যদিও শোনা গিয়েছিল, তিনিও প্রার্থী হতে তেমন আগ্রহী ছিলেন না। যদিও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা, রোড-শো করেছেন তিনি। বিজেপি-র দেওয়া হেলিকপ্টারে চষেছেন রাজ্যের এ মাথা থেকে ও মাথা। বিভিন্ন সভায় তাঁর বিখ্যাত সংলাপগুলি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগও করেছে জনতা। অল্প সময়েই বিজেপি-র প্রচারে অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে শেষ দিকে সভায় লোক না হওয়ার মতো বিতর্কেও জড়াতে হয়েছে মিঠুনকে।
রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিল রাজ্যে এক প্রকার মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। তাই মিঠুনের সংলাপ, বাচনভঙ্গি অনেক হাততালি হয়তো পেয়েছে। কিন্তু ভোটবাক্সে কি তার প্রতিফলন ঘটেছে? শুধু মিঠুন নন, গত কয়েক মাসে যে সব তারকা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন তাঁদের কেউই সে ভাবে সাফল্য এনে দিতেন পারেননি। বিজেপি-র তারকা প্রার্থীদের বড় একটা অংশই পরাজিত হয়েছেন। সে তুলনায় তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানো তারকাদের সাফল্য অনেক বেশি। অবশ্য তার অন্যতম কারণ, দল হিসাবে নীলবাড়ির লড়াইয়ে অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। নায়কোচিত ‘এন্ট্রি’ নিলেও মিঠুনের ‘এগজিট’ কার্যত আড়ালে থেকে গেল। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী না করা হলেও শোনা গিয়েছিল, রাজ্যে বিজেপি জিতলে বা বেশি আসন পেলে ভবিষ্যতে মিঠুনকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। তেমন কোনও সম্ভাবনা ২ মে-র পর নেই বলেই বিজেপি সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy