প্রতীকী ছবি।
প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলিপুরদুয়ারে দলের অন্দরে তৈরি হওয়া ক্ষোভ সামাল দিতে উদ্যোগী হল তৃণমূলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। তার পরেও ক্ষোভ বাস্তবে কতটা সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রার্থী নিয়ে ‘মান ভাঙাতে’ ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে-কে ফোন করেছেন দলের রাজ্য শীর্ষ নেতারা। ফোন গিয়েছে দলের
প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মার কাছেও। কিন্তু মোহনের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, কলকাতার নেতাদের ফোন ধরেননি তিনি। পাশাপাশি দলের ঘোষিত প্রার্থীদের হয়ে এখনও প্রচারে নামতেও দেখা যায়নি তাঁর ঘনিষ্ঠদের। মনোরঞ্জনের ঘনিষ্ঠদের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি সেই একই। সেইসঙ্গে জেলা পরিষদের কয়েক জন সদস্যকে নিয়েও চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল শিবিরে।
প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল তৃণমূলের অন্দরে। গত সপ্তাহে দলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় দলের একাধিক শিবিরে তৈরি হওয়া ক্ষোভ কার্যত কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কোথাও কোথাও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও হয়। যদিও তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, মাদারিহাট ও কুমারগ্রামে দলের ঘোষিত প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ অনেকটাই সামলানো গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দলের জেলা কমিটির বৈঠকে কুমারগ্রামের প্রার্থী বাদে ওই ব্লকের প্রথম সারির কোনও নেতাকেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। একই ভাবে ওই বৈঠকে দলের প্রাক্তন মোহন শর্মা বা মনোরঞ্জন দে-কেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
মনোরঞ্জন দলের আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের সভাপতি। যে ব্লকের একটা বড় অংশ যেমন আলিপুরদুয়ার বিধানসভায় পড়েছে, তেমনি একটি অংশ ফালাকাটাতেও পড়ছে। তৃণমূলের একাংশের দাবি অনুযায়ী, ওই ব্লকে দলের অন্দরে যথেষ্টই প্রভাব রয়েছে মনোরঞ্জনের। এই পরিস্থিতিতে মনোরঞ্জনের মান ভাঙাতে ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য নেতারা উদ্যোগী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মনোরঞ্জন বলেন, ‘‘জেলা নেতাদের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফোন করেছিলেন। জেলার নেতাদের সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে।’’ কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, কলকাতার নেতাদের ফোন এখনও পর্যন্ত ধরেননি মোহন। পাশাপাশি তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। তাই প্রচারে নামব কিনা তা এখনও ঠিক করিনি।”
জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘দলের প্রত্যেকে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। সবাই দ্রুত প্রচারেও
ঝাঁপিয়ে পড়বেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy