ফের শুভেন্দুকে কটাক্ষ মমতার।
নির্বাচনী প্রচারে একাধিক বার তৃণমূলকে ‘তোলাবাজের দল’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার খড়্গপুরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ‘দিদির পাঠশালার সিলেবাস তোলাবাজি’ বলে তৃণমূলকে বিঁধে গিয়েছে। এ বার তার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর সভার দিনই হলদিয়ায় গিয়ে জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলে যাঁরা তোলাবাজ ছিল, এখন সব বিজেপি-তে গিয়ে ভিড়েছে। নিজে থেকে সকলে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেচেছেন তিনি।
মমতা যদিও সরাসরি কারও নাম মুখে আনেননি। তবে নব্য বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই যে তিনি ইঙ্গিত করেছেন, তাঁর বক্তব্যেই সেটা স্পষ্ট। ‘ঘরশত্রু বিভীষণের’ অভিসন্ধি বুঝতে পারেননি বলে শুক্রবারই পটাশপুরে স্বগতোক্তি করতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। শনিবার হলদিয়ায় মমতা বলেন, ‘‘মেদিনীপুরের কিছু গদ্দার, মিরজাফর, যাদের এত দিন পুষেছিলাম, যাদের জন্য মিলন মণ্ডলকে দু’বছর জেলে থাকতে হয়েছে, পাঁশকুড়ার আনিসুরকে জেলে ভরে দিয়েছে যারা, তারা এখন বিজেপি-তে। যাদের পছন্দ হত না, তাদেরই জেলে ভরে দিত।’’
এর পরেই মমতার মুখে উঠে আসে তোলাবাজ প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল এত দিন যাকে স্নেহ দিয়ে বড় করেছে, তার থেকে বড় তোলাবাজ আর কে আছে বলুন? আছে কি কেউ? সে এখন বিজেপি করে। তৃণমূল তার কাজকর্মকে সমর্থন করেনি বলেই, টাকা বাঁচাতে বিজেপি-তে গিয়েছে। জেলহাজত থেকে বাঁচাতে গিয়েছে নিজেদের। জানেন, আমাকে হলদিয়ায় আসতে দিত না। মেদিনীপুরে আসতে গেলে নাকি অনুমতি নিতে হবে। বলে, ওটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এগরায় যেতে হলে অনুমতি লাগবে, হলদিয়া যেতে হলে অনুমতি লাগবে, নন্দীগ্রাম যেতে হলে অনুমতি নিতে হবে, খেজুরি যেতে হলে অনুমতি নিতে হবে। যেন জোতদার, জমিদার বসে রয়েছে! আজ আমি বেঁচে গিয়েছি। আপদ বিদায় নিয়েছে। এখন যখন ইচ্ছে আসতে পারি। নিজের মতো কাজ করতে পারি।’’
‘পিএম কেয়ার্স’ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, অতিমারিতে পিএম কেয়ার্সের নামে কোটি কোটি তুলেছে বিজেপি, তাদের চেয়ে বড় তোলাবাজ আর কেউ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy