লঞ্চে করে হলদিয়া থেকে কান্দিমারি যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলেছেন সুদীপ্ত ভৌমিক।
পরিকল্পনাই বটে!
আসলে, ম্যাপটা আগেই আঁকা হয়ে গিয়েছিল। ভোটের সকালে তিনি শুধু সেই মানচিত্রের একের পর এক পয়েন্ট ছুঁয়ে এগিয়ে গেলেন। কখনও গাড়ি, কখনও বাইক, কখনও বা লঞ্চ, আবার কখনও শুধু পায়ে হেঁটেই নিজের আঁকা ম্যাপ পরিক্রমা করলেন মেদিনীপুরের ‘যুবরাজ’ শুভেন্দু অধিকারী।
পরিকল্পনা বলে পরিকল্পনা!
সাত সকালে হলদিয়ার মহাপ্রভুচক প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন। তার পর যেখানেই পৌঁছেছেন মানুষ ছুটে এসেছে তাঁর কাছে। শাঁখ বাজিয়ে বরণ করতেও দেখা গিয়েছে। কেন্দামারি হোক বা গড় চক্রবেড়িয়া, ওসমানচক হোক বা আমগেছিয়া, বুথ থেকে বুথে ঘুরেছেন তিনি। আর আলগা ভিড়টা যেন তাঁকে ঘিরেই দানা বাঁধতে চেয়েছে। দাপটে বুথে ঢোকার সময় কোথাও তাঁকে আটকেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রার্থী পরিচয় দিতে হয়েছে। আবার শুনতে হয়েছে বুথের সামনে থেকে গাড়ি সরানোর নির্দেশও। ধমকে উঠেছেন যুবরাজ, ‘‘এটা মাওবাদী এলাকা নয়।’’ নরম থাকেননি জওয়ানও। শুনিয়ে দিয়েছেন, ‘‘হাঁ, মুঝে পতা হ্যায়।’’
এটাও নাকি পরিকল্পনা।
সফর-মাঝে সোনাচূড়ায় ছোট্ট একটা বিরতির মাঝেই তাঁর গলায় শোনা গেল অভিযোগ— কেন্দ্রীয় বাহিনী এখন বিজেপি-র বাবুদের কথায় ওঠবোস করছে। তার পরেই জানালেন, প্রথম দু’দিনের নির্বাচন মিটতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কৌশল বদল করে। বললেন, ‘‘আমরাও সেই মতো পরিকল্পনা এবং কৌশল বদল করেছি।’’ কিন্তু, সেই নয়া পরিকল্পনায় কত আসন তৃণমূলের ঝুলিতে আসবে? ঝেড়ে কাশলেন না তিনি। শুধু বললেন, ‘‘ভোটের রেজাল্ট কী হবে, এখনই বলব না।’’ তাঁর নিজের জেলার ফল কী হতে পারে? বললেন, ‘‘১৬-০ বলে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে রাজি নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy