গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
শীতলকুচি নিয়ে বরাহনগরের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল। দিলীপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির পাশাপাশি পরবর্তী কয়েকধাপে তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোরও আবেদন করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। বরাহনগরের সভা থেকে সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিজেপি সাংসদ দিলীপ বলেছিলেন, ‘‘আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচি দেখেছে কী হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’’ এই মন্তব্যের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল। দিলীপের এই বক্তব্য সাধারণ ভোটারদের মনে ‘ভয়ের স়ঞ্চার করবে’, এমন অভিযোগ তোলে ঘাসফুল শিবির। সেই কথাই লেখা হয়েছে চিঠিতে।
বলা হয়েছে, ‘দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, তিনি এই হিংসার ঘটনা সমর্থন করেন। পরবর্তী কয়েকধাপের নির্বাচনে এমন হিংসার ঘটনা আবারও ঘটবে, তাঁর কথাতে সেই ইঙ্গিতও রয়েছে। পাশাপাশি, সিএপিএফ যদি ভোটদান প্রক্রিয়ার উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে আইন বিরুদ্ধ কাজ করে, তাহলে প্রতিবাদও করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। আইনের শাসন যে মাটিতে আছে, সেখানে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না’।
শুধু বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি নন, ঘটনার সঙ্গে নাম না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘাড়েও দায় চাপিয়েছে তৃণমূল। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘দিলীপের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে বিজেপি-র ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সিএপিএফ। যিনি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি-র একজন তারকা প্রচারক, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইন্ধনও রয়েছে এই ঘটনায়। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের একেবারে পরিপন্থী। এই মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করবে ও ভোটদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে’। সেই কারণেই দিলীপের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, পরের দফাগুলির নির্বাচনে দিলীপ যাতে প্রচার করতে না পারেন, সেই নিষেধাজ্ঞা চাপানোরও আবেদন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy