নিজস্ব চিত্র
মোটের উপর শান্তিতেই মিটল পঞ্চম দফার নির্বাচন। জেলায় জেলায় কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও সারাদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট দিলেন সাধারণ মানুষ। পঞ্চম দফায় ৬ জেলার ৪৫টি আসনে ভোট গৃহীত হল। এর মধ্যে জলপাইগুড়ির ৭টি আসন, উত্তর ২৪ পরগনার ১৬টি আসন-সহ ছিল পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার বিধানসভা কেন্দ্রগুলি। শান্তিপূর্ণ হলেও তৃণমূল-বিজেপি উভয় পক্ষ থেকেই একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে।
ভোট প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কামারহাটি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে উত্তাপ ছড়ায় কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে। বরাহনগরের বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র অভিযোগ করেন, তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর পাশাপাশি শনিবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে নদিয়ার গয়েশপুর। সেখানে বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেন, এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা পদ্ম শিবিরের কর্মীদের মারধর করেছে, বাড়ি ভেঙে দিয়েছে, তাণ্ডব চালিয়েছে। এর পাশাপাশি দেগঙ্গা থেকে অভিযোগ আসে, কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
একাধিক অভিযোগ করেছে তৃণমূলও। শান্তিপুরে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা। অভিযোগ এসেছে মধ্যমগ্রাম থেকেও। সেখানে একাধিক বুথে এলাকার বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে দাবি করে তৃণমূল। সকালে খবর আসে উত্তরবঙ্গ থেকেও। ধূপগুড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক তৃণমূল সমর্থক। তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy