বিজয়-মিছিল বন্ধ করতে সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
দলের ইতিহাসে এই প্রথম পান্ডুয়া বিধানসভায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে, সোমবারই বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে আস্ফালনের অভিযোগ উঠল পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষের বিরুদ্ধে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য পুলিশ রাস্তায় নামে। তৃণমূল শিবিরের খবর, নব-নির্বাচিত প্রার্থী রত্না দে নাগ সাবধান করেন সঞ্জয়কে।
এ দিন সকালে পান্ডুয়ায় দলের কিছু কর্মী-সমর্থককে নিয়ে কার্যত দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় সঞ্জয়কে। পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁরা আবির খেলতে শুরু করেন। এক বিজেপি সমর্থকের ফলের দোকানে গিয়েও তাঁরা হম্বিতম্বি করেন বলে অভিযোগ। এ সব দেখেশুনে স্থানীয় মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা গোলমালের আশঙ্কায় প্রমাদ গোনেন। পান্ডুয়া থানায় খবর পৌঁছয়। এর পরেই বিজেপি কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বিষয়টি জেনে রত্নাদেবী ফোন করে সঞ্জয়কে বলেন, তাঁরা যেন কোনও গোলমাল না-করেন। তাঁর নির্দেশে সঞ্জয় দলীয় কার্যালয়ে চলে যান। দলের নির্দেশ ছাড়া কেউ যাতে বিজয় উৎসব না করেন, সে ব্যাপারেও দলের নেতাদের সতর্ক করেন রত্নাদেবী।
বিজেপির পান্ডুয়া মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙতে এসেছিল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ চলে আসায় কিছু করতে পারেনি। ভোটে জিতেই মানুষকে ফের সন্ত্রস্ত করা শুরু করে দিল তৃণমূল।’’
রত্নাদেবী অবশ্য বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় আছি। পান্ডুয়ায় গিয়ে ব্লকের সব নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। কোথাও কোনও অশান্তি হতে দেব না। মানুষ আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। উন্নয়নের কাজ করে সেই বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রাখব।’’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানছেন না সঞ্জয়। তাঁর দাবি, ‘‘দল জিতেছে। তাই কর্মী-সমর্থকরা আনন্দে আবির খেলেছেন। কোনও অশান্তি করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy