বর্ধমানে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক। প্রতীকী ছবি
রহস্যময় পোস্টার ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ল বর্ধমানে। বৃহস্পতিবার শহরের কয়েকটি জায়গায় স্থানীয় বিজেপি নেতানেত্রীদের নামে বিতর্কিত কিছু পোস্টার দেখা যায়। বিজেপি-র অবশ্য দাবি, ওই পোস্টারের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি-র অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।
বৃহস্পতিবার বর্ধমানের উদয়চাঁদ মহিলা কলেজ চত্বরে জেলার একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কিছু পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। ওই পোস্টারগুলিতে বর্ধমানের গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে যৌনকেচ্ছার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বর্ধমান জেলা বিজেপি-র সম্পাদক শ্যামল রায় অভিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূল এ ভাবে পোস্টার দিয়ে জনসমক্ষে হেয় করার চেষ্টা করছে। পিকে-র টিম এইসব নোংরামি করছে। যাঁরা এ সব করছেন ভোটের ফল বেরনোর পর তাঁদের কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।’’
বিজেপি-র অভিযোগের জবাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মীরা এ সব কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা বিজেপি-র ঘরের ব্যাপার। ওদের মধ্যে এখন নতুন পুরনো দ্বন্দ্ব চলছে। তাঁদেরই কেউ এ কাজ করে থাকবে। মহিলাদের জড়িয়ে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ পোস্টার ছড়ানো মোটেই ঠিক হয়নি।’’
চলতি মাসের ১১ তারিখে ঠিক একইরকম পোস্টার দেখা গিয়েছিল বর্ধমানে। তার পর ফের একই কাণ্ড ঘটল বহস্পতিবার। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দলের বহু নমুনা উঠে এসেছে। গত জানুয়ারিতে বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটিতে বিজেপি-র কার্যালয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। একদল বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ভাঙচুর চালায় দলীয় কার্যালয়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। ওই ঘটনায় বিজেপি-র তৎকালীন জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী-সহ ১৪ জনকে শোকজ করে রাজ্য নেতৃত্ব। এর পর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপকে। তাঁর জায়গায় আসেন অভিজিৎ তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy