ফাইল চিত্র
চৌরঙ্গি কেন্দ্রে সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কিন্তু ভোটে লড়তে চান না তিনি। একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় শিখা বলেছেন, ‘‘আমি কোনও মতেই বিজেপি-র হয়ে দাঁড়াচ্ছি না। ভুয়ো সংবাদ আপনাদের কাছে প্রচারিত হচ্ছে। এটা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমি নিজেই বলছি, আমি দাঁড়াব না।’’
বারবারই শোনা যাচ্ছিল, সোমেন মিত্রর স্ত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক শিখা ও ছেলে রোহন বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। যদিও যোগদানের বিষয়ে কিছুটা দোটানায় ছিল মিত্র পরিবার। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, শিখার সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘক্ষণ আলোচনাও করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই বিজেপি-তে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয় শিখা ও রোহনকে। সেই সময় আনন্দবাজার ডিজিটালেই লেখা হয়েছিল, বিজেপি মিত্র পরিবারের একজনকে চৌরঙ্গি বিধানসভা থেকে প্রার্থী করতে চায়। কিন্তু তারপরেও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি পরিবার।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে সোমেন পুত্র রোহন বলেছেন, ‘‘সহ্যের একটা সীমা আছে। আমরা কোনও দলে যোগদান করিনি। তারপরেও আমাদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হল। আমরা কোনও দিন ভোটে দাঁড়াতে চাইনি।’’ বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে প্রার্থী ঘোষণার সময় চৌরঙ্গি কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক শিখার নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তারপরেই প্রবল ক্ষোভ ব্যক্ত করেন শিখা ও রোহন।
২০০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সোমেন। সেই সময় শিখাও যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ২০১৪ সালে কংগ্রেসে ফিরে আসেন সোমেন। ২০১১ সালে চৌরঙ্গি থেকেই তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন শিখা। প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে তিনি জেতেন। কিন্তু দলীয় স্তরে মতানৈক্যের জেরে মমতার বিরুদ্ধে ২০১৩ সাল থেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন শিখা। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। শেষে তৃণমূল ছাড়েন সোমেনও। তারপর থেকে সোমেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থাকলেও সক্রিয় রাজনীতিতে শিখাকে আর দেখা যায়নি। গত বছর সোমেন প্রয়াত হওয়ার কিছু দিন পর থেকে মিত্র পরিবারের দোটানা প্রকাশ্যে আসে। যার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল বৃহস্পতিবার বিজেপি-র প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy