মালদায় প্রচারে দেব। ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক
সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘গোলন্দাজ’ ছবির টিজার। সংবাদমধ্যম মুখিয়েই ছিল নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারীর ভূমিকায় তাঁর অভিনয় দেখার জন্য। পয়লা বৈশাখে সহ অভিনেতা ইশা সাহা, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ টিম ‘গোলন্দাজ’-এর সঙ্গে সিনেমা হলে এসেছিলেন ‘ফুটবলের জনক’ ওরফে দেব। টিজার দেখে সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ফিরতি পোস্টে সংবাদমাধ্যমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান দেবও। বাড়তি উপহার, একটি তির্যক খোঁচা, ‘একমাত্র আমাদের দেশের নেতারাই পারেন নিয়ম ভাঙতে!’
ধন্যবাদ জানানোর পরেই দেবের এই ধরনের মন্তব্যের কারণ কী? নেটমাধ্যমে শেয়ার হওয়া সাংসদ-তারকার পোস্ট বলছে, ওই দিন আদ্যন্ত বাঙালি সাজে সেজে ওঠা দেব সারাক্ষণ মুখে মাস্ক দিয়ে ছিলেন। সে কথাই তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দেন অনুরাগীদের, ‘মাস্ক পরে তবে বাইরে পা রাখবেন। অকারণে বাইরে বের হবেন না’। অতিমারি ঠেকাতেই তাঁর এই সুপরামর্শ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল বেঁধেছে ব্যঙ্গোক্তি নিয়ে, ‘যদি না আপনি রাজনীতিবিদ হন। একমাত্র এ দেশের নেতারাই ইচ্ছেমতো নিয়ম গড়তে আর ভাঙতে পারেন!’
কাকে কটাক্ষ করলেন দেব? নেটাগরিকেরা বিস্মিত এই মন্তব্যে। দেব নিজেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনীতিবিদদের কটাক্ষ করলে তার আঁচ যে তাঁর গায়েও লাগবে, সে কথা কি সামযিক ভুলে গিয়েছিলেন তিনি? প্রশ্ন তাঁদের। যদিও উত্তর জানা যায়নি।
একদিকে অতিমারির দাপট। অন্য দিকে তাকে এড়িয়ে নির্বাচনী প্রচার। এতে হু হু করে বাড়ছে করোনা। প্রচারে বেরিয়ে মাস্ক পরছেন না বহু নেতা-মন্ত্রীই। বাংলার ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে বাম দল বড় জমায়েত বাতিল করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আপাতত তিনি কোনও সভা, প্রচার মিছিল, জমায়েত করবেন না। সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী একই পথে হাঁটতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বড় সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি।
তবে কি গেরুয়া শিবিরকেই ঠুকলেন শাসকদলের সাংসদ? কারণ, একমাত্র তারাই এখনও রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ করেনি। উল্টে, জোরকদমে শেষমুহূর্তেও সভা, জমায়েত করছে রাজ্যজুড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy