মানিকচকে ভোট প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটপ্রচারে উত্তরবঙ্গে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতার নাম না করে শুভেন্দুর কটাক্ষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিকাশ’ ঘটানোই ‘মাননীয়া’র একমাত্র লক্ষ্য। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পিছনেও ‘দিদি’-ই দায়ী বলে মমতাকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, “আপনি যতক্ষণ দিদি ছিলেন, দলে ছিলাম। কিন্তু যখন থেকে পিসি হয়েছেন, দল ছেড়ে দিয়েছি। মাননীয়ার একমাত্র লক্ষ্যই হল, কুচ কুচ কা সাথ, ভাতিজা কা বিকাশ।”
রবিবার মালদহের মানিকচক বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী গৌড়চন্দ্র মণ্ডলের সমর্থনে নির্বাচনী দক্ষিণ চণ্ডীপুরে প্রচার করেন শুভেন্দু। মানিকচক কেন্দ্র ছাড়াও রতুয়া, চাঁচল এবং গাজল বিধানসভা এলাকাতেও সভা করেন তিনি। প্রতিটি সভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী এবং অভিষেকের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমি নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে টাটা-বাই বাই করে দিয়েছি। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে পিসি পাবে মিথ্যাশ্রী ও ভাইপো পাবে তোলাশ্রী প্রকল্প।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “পিসি-ভাইপোর কোম্পানিকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে হবে। এই জেলাতেও অধিকাংশ আসন বিজেপি জিতবে। পঞ্চম দফা নির্বাচনে ১৮০টি বিধানসভায় নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠ দফায় ভারতীয় জনতা পার্টির ১৪৮টি আসন হয়ে যাবে। অষ্টম দফা আসতে আসতেই ২০০টি আসন পেরিয়ে যাবে বিজেপি।”
রবিবার প্রতিটি প্রচারসভাতেই হিন্দুত্বের তাস খেলতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকে। যা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। মানিকচক বিধানসভার প্রার্থী তথা তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “শুভেন্দুর কাছ থেকে হিন্দু-মুসলমানের কথা শুনব না। তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন দলটা নষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি মিথ্যাবাদী।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy