ভাতারে জনসভায় দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখেই প্রচারে ঢেউ তুলেছে বিজেপি। সেই মোদীর কথা টেনেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন,আর সাদা সড়ি নয়। এ বার সাদা দাড়ির দিন আসছে। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে নবাবনগরে প্রার্থী মহেন্দ্রনাথ কোবারের সমর্থনে জনসভা করতে আসেন দিলীপ। সেখানেই তিনি কটাক্ষের সুরে একথা বলেন।
দিলীপ বলেন,‘‘দিদিমনির হাওয়াই চপ্পল আর সাদা শাড়ি আমাদের অনেক বোকা বানিয়েছে। আর সাদা শাড়ি নয়, এ বার সাদা দাড়ি চলবে । সাদা শাড়ির দিন শেষ। সাদা দাড়ির দিন এসেছে। সাদা দাড়ি এবার সোনার বাংলা গড়বে।’’
খেলা হবে স্লোগানের পাল্টা স্লোগান তুলেও রবিবার তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। বলেন,‘‘দিদি বলেছিলেন খেলা হবে। আমরা ভেবেছিলাম, কী না কী খেলা হবে যেন। কিন্তু এখন হুইল চেয়ার ঠ্যালা হচ্ছে।’’ সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘দিদি বলেছিলেন, একসঙ্গে ভোট করে নাও। শেষে দেখা গেল দিদিই পালিয়ে গিয়েছেন। ম্যাচ শেষ হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। আমরা বলছি ফুলটাইম খেলা হবে। যতক্ষণ না খেলা শেষ হচ্ছে, মাঠ ছাড়ব না।’’
দিলীপ ঘোষ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘আর সিভিক পুলিশ দিয়ে থানা চলবে না। এতদিন ভোট এলে বাংলার মানুষ চিন্তায় থাকতেন। আমি কথা দিচ্ছি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে আর ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে না। রাজ্যের পুলিশই ভোট নিয়ন্ত্রণ করবে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করবে। পুলিশের মেরুদণ্ড আমরা সোজা করে দেব।’’ রবিবার ভাতারের সভার আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম, পূর্বস্থলী এবং মঙ্গলকোটে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে রোড শো করেন দিলীপ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস দিলীপের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘‘উনি কি জোতিষী নাকি? সব আগেভাগেই জেনে গিয়েছেন। বিজেপি-র এত যদি ক্ষমতা, তা হলে প্রতিদিন বাইরে থেকে নেতা ভাড়া করতে হচ্ছে কেন। ২ মে ঠিক হবে নবান্নে কে বসবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy