মন্ত্রী শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
অসময়ে দল থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন, দলনেত্রী ফিরেও তাকালেন না তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়ে ঠায় দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন হোটেলের বাইরে। মমতা তাঁকে ডেকে পাঠাননি। এমনকি হোটেল ছেড়ে হেলিপ্যাডে যাওয়ার সময় তাঁর ডাকাডাকিতে সাড়াও দেননি। স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলে সুবিধাবাদীদের কোনও জায়গা নেই।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন আবাসন, বস্ত্র,নারী ও শিশু- কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন ২০১১ সালে। জিতেই মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন। যদিও ২০১৬ সালে পরের বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকেই হেরে যান তিনি। দল অবশ্য তার পরেও বাঁকুড়া জেলার তৃণমূলের সভাপতি করেছিল তাঁকে। সেই তিনিই মাস দুয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আশা ছিল, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে টিকিট পাবেন। কিন্তু বিজেপি তাকে বিমুখ করেছে। বিজেপি প্রার্থী তালিকায় কোথাও নেই তাঁর নাম। ক্ষুব্ধ শ্যামাপ্রসাদ এরপরই আসেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।
পায়ে আঘাত লাগার পর এই প্রথম জেলা সফরে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার থেকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হোটেলে আছেন। প্রাক্তন বিধায়ক সোমবার সেই হোটেলের বাইরেই দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। হোটেলের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই তিনি ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির বিরুদ্ধে । বলেন, ‘‘বিজেপি তে প্রার্থী হতে গেলে সাড়ে তিন কোটি টাকা দিতে হবে।’’ প্রশ্ন করা হয়েছিল, তবে কি তিনি আবার তৃণমূলে ফিরতে চান। জবাবে সরাসরি হ্যাঁ বা না কিছুই বলেননি তিনি। শুধু জানান, একবার দিদির সঙ্গে কথা বলতে চান ব্যক্তিগত কারণে।
আশা করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে ডাকবেন। তবে যদি না-ও ডাকেন সকালে পুরুলিয়ায় জনসভায় যাওয়ার আগে হোটেল থেকে বেরোনোর সময় নিশ্চয়ই কথা বলতে পারবেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দিকে ফিরেও তাকাননি। হোটেল থেকে হুইল চেয়ারে করেই হেলিপ্যাডে চলে যান মমতা। প্রাক্তন বিধায়ক যে তাঁর সাক্ষাৎপ্রার্থী, তা তাঁর অজানা ছিল না। তবে বহুবার ডাকাডাকি করলেও সাড়া দেওয়া তো দূর তাঁর দিকে ঘুরেও তাকাননি মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy