কেউ তাঁর মন্তব্যে আহত হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জিও জানান ইয়াসির।
প্রার্থিতালিকায় তাঁর নাম না থাকায় প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আগেই। এ বার তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসির হায়দর। কোনও ভাবেই তিনি আর তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ইয়াসির। শাসকদলের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন কোনও কাজে যাতে তাঁকে আর না জড়ানো হয়, আবেদন করেছেন তিনি। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি দলের সদস্যপদ ত্যাগ করেছেন, নাকি দলই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূল যে বিধায়ক প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে তাঁর নাম না থাকায় শনিবার গভীর রাতে নেটমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন ইয়াসির। লেখেন, ‘এক জন বুদ্ধিমান মানুষ বলেছিলেন, তারকা বা বিখ্যাত হলে সহজেই টিকিট পাওয়া যায়। তখন ওঁর কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা উচিত ছিল আমার। যাঁরা বছরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান, দিনের শেষে উপেক্ষিতই থেকে যান তাঁরা। এটাই কঠিন বাস্তব’। নির্বাচনের নামে এই মুহূ্র্তে তামাশা চলছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
তৃণমূলনেত্রী-ঘনিষ্ঠ ফিরহাদের ঘরের লোকের মুখে দলীয় সিদ্ধান্তের এই বিরোধিতাকে মমতার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা হিসাবেই দেখতে শুরু করে তৃণমূলের একাংশ। তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয় দলের অন্দরে। ঠিক তার পরেই শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নেটমাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছেন বলে জানান ইয়াসির। তিনি লেখেন, ‘সকলকে জানাতে চাই যে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আর কোনও ভাবেই যুক্ত নই আমি। তাই তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন কোনও ব্যাপারে আমাকে আর জড়াবেন না’। তাঁর কোনও মন্তব্য যদি কাউকে আঘাত করে থাকে, কারও যদি তাঁকে উদ্ধত বলে মনে হয়ে থাকে, তার জন্য সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন ইয়াসির।
কিন্তু আচমকা তাঁর এই সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। নিজে থেকে তিনি দল ছাড়লেন, নাকি তাঁকে দল ছাড়তে বাধ্য করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে তৃণমূলের কেউ বা ফিরহাদের পরিবারের কেউ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। দলীয় সূত্রে খবর, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ইয়াসিরের সঙ্গে জোড়াফুল শিবিরের সম্পর্কে ফাটল ধরে। তাঁকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে ইয়াসিরকে প্রশ্রয় দেওয়ার বদলে, বরাবর দলের সিদ্ধান্তকেই মেনে নিতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদকে। শনিবার রাত পর্যন্ত তিনি এ প্রসঙ্গে কোথাও কোনও মন্তব্য করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy