ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকেই কার্যকর হল এই নির্দেশ। বীরভূমে ভোটের ঠিক দু’দিন আগে কমিশন জানাল, আগামী ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত নজরবন্দি থাকবেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত। অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, অষ্টম দফায় ভোট বীরভূমে। তার আগে মঙ্গলবার বিকেলেই অনুব্রতকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে নজর রাখা হবে অনুব্রতর উপর। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
বিভিন্ন সূত্র থেকে অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল কমিশনের কাছে। চিঠিতে তার উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, ওই সব অভিযোগ এবং বীরভূমের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও) এবং পুলিশ সুপারের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে শেষ দফার নির্বাচন অবাধে এবং নিরপেক্ষভাবে হতে পারে। কমিশনের ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, এর আগেও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কমিশনের নির্দেশ-সহ ওই চিঠি পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব রাকেশ কুমার। চিঠিতে বলা হয়েছে, সময় এবং তারিখের স্ট্যাম্প-সহ ভিডিয়োগ্রাফি করে নজরদারি চালানো হবে অনুব্রতর উপর। তাঁর সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে সিবিআইয়ের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিস নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণও করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের ভার্চুয়াল সভায় এবং পরে কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারেও ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি এত ভীতু দল যে ওরা কেষ্টকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাকেও নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে ওরা।’’ পরে মমতা বলেন, ‘‘আমি ওকে যেতে বারণ করেছি। বলেছি, একদম যাবি না।’’ মঙ্গলবারই অনুব্রত সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য আপাতত হাজিরা দিতে পারছেন না। ১৫ দিন পর যাবেন বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy