দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর ফের কোচবিহার জেলায় হিংসার বলি এক বিজেপি কর্মী। শীতলখুচির পর এ বার দিনহাটার পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জামাদর বস এলাকায়। সোমবার হারাধন রায় নামে ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সকাল থেকেই পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জামাদর বস এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় সোমবার সকালে এক মানিক মৈত্র নামে এক বিজেপি সমর্থককে গুলি করে খুন করা হয়।
বিজেপি-র জেলা সভাপতি মালতি রাভা রায় বলেন, ‘‘হারাধনকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়ি থেকে টেনে বার করে পিটিয়ে খুন করেছে। জেলা জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যদি সন্ত্রাস বন্ধ না করে, আর প্রশাসন যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে প্রয়োজনে মাঠে নেমে আমরা সন্ত্রাস প্রতিরোধ করব।’’
দুই বিজেপি কর্মী খুনের প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দিনহাটায় বিজেপি-র দুষ্কৃতীদের হামলায় এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত। পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির দুষ্কৃতীরা সকাল থেকে বোমাবাজি করে। বিজেপি নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জের দিনহাটায় বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছে। এখন তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবে যুক্ত নয়।’’
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুথে গন্ডগোলের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিনই অন্য একটি ঘটনা গুলি করে খুন করা হয় এক বিজেপি সমর্থক তরুণকে। বিধানসভা ভোটে শীতলখুচিতে বিজেপি-র জয়ের পর পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy