Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

উর্দির মান রাখতে মরিয়া

ভোট সন্ত্রাস’ রুখতে হুগলি জেলা প্রশাসন কোমর বেঁধে তৈরি। রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন যে পর্দায় প্রশাসন তথা পুলিশের ভূমিকাকে বেঁধে দিয়েছে সেই উদাহরণই বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হুগলি জেলা পুলিশ-প্রশাসন।

বিভিন্ন বুথে রওনা হওয়ার আগে। পান্ডুয়ায়।  ছবি-সুশান্ত সরকার।

বিভিন্ন বুথে রওনা হওয়ার আগে। পান্ডুয়ায়। ছবি-সুশান্ত সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৮
Share: Save:

ভোট সন্ত্রাস’ রুখতে হুগলি জেলা প্রশাসন কোমর বেঁধে তৈরি।

রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন যে পর্দায় প্রশাসন তথা পুলিশের ভূমিকাকে বেঁধে দিয়েছে সেই উদাহরণই বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হুগলি জেলা পুলিশ-প্রশাসন। রাজ্যে প্রথম কয়েকটি দফার ভোটে প্রাথমিকভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষত, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব ছিলেন বিরোধীরা। অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার। কিন্তু পরের ধাপগুলিতে নির্বাচন কমিশন তুলনায় শক্ত হাতে ভোট পরিচালনা করায় সেই অভিযোগ অনেকটাই স্তিমিত। পঞ্চম দফার ভোটে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, রাজ্য পুলিশের ভূমিকাও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

হুগলির পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন,‘‘নিরাপত্তা জোরদার করতে জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় বিশেষ বাহিনী রাখা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

হুগলিতে আজ মোট ১৮টি বিধানসভায় ভোট। প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোট সুষ্ঠু করতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিজস্ব কন্ট্রোল রুম থাকছে। শুধু কন্ট্রোল রুম থাকাই নয়, জেলার ১৮টি বিধানসভা এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তারাও খবর সংগ্রহ করবে। জেলার কোথাও যদি রাজ্য পুলিশের দিক থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা থাকে সে ক্ষেত্রে তারা নিজেদের উদ্যোগেই ব্যবস্থা নেবে। তবে জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমরা তৈরি। কোথাও কোনও গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হলে পুলিশ কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে। উর্দির মান রাখতে চাই।’’ প্রতিটি কেন্দ্রের সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের মস্তান বাহিনী বহু ক্ষেত্রেই ভোটারদের বাড়ি থেকে না বেরোনোর হুমকি দিচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, বুথে আসতেও তারা ভোটারদের বাধা দিতে পারে। তাই শুধু বুথে নয়, বুথের বাইরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় চারটি স্তরে পুলিশ কর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। জেলায় স্পর্শকাতর বুথগুলিতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। কোন্নগর, চাঁপদানি, জাঙ্গিপাড়া, পাণ্ডুয়া এবং বাঁশবেড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালাবে পুলিশ। এর সঙ্গেই আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, গোঘাট, পুরশুড়াতেও পুলিশের বাড়তি নজরদারি থাকছে। পাশাপাশিই জেলার সীমানা লাগোয়া এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে চলতি সপ্তাহের বুধবার থেকেই। হুগলি লাগোয়া হাওড়া, বর্ধমান, বাকুঁড়া, মেদিনীপুর-সহ অন্য জেলাগুলির সীমানা এলাকায় তল্লাশি ও কড়া নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

হুগলি গঙ্গা তীরবর্তী জেলা হওয়ায় বহু সময়ই উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদীয়া থেকে জলপথ পেরিয়ে অন্য জেলার দুষ্কৃতীরা গোলমাল পাকায়। হুগলির উত্তরপাড়া থেকে বাঁশবেড়িয়া ও বলাগড় পর্যন্ত বিস্তীর্ণ নদীপথ রয়েছে। জলপথে যাতে কেউ জেলায় ঢুকে ঝামেলা পাকাতে না পারে তা রুখতে জলপথেও কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016 uniform honor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy