ব্রিগেডের সভায় নরেন্দ্র মোদী নিজস্ব চিত্র
বহিরাগত। নীলবাড়ির লড়াইয়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান সর্বজনীন হয়ে উঠলেও ‘বহিরাগত’ শব্দের ‘পেটেন্ট’ পুরোপুরি নিয়ে রেখেছে তৃণমূল। এটাই তো বাংলায় প্রচারে আসা বিজেপি-র সর্বভারতীয় নেতাদের আক্রমণের মূল তির। তার জবাব রাজ্য নেতারা নানা ভাবে দিয়ে চলেছেন। রাজ্যে এসে জেপি নড্ডা, অমিত শাহরাও তার জবাব দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা আক্রমণ শানালেন। দাবি করলেন, বিজেপি পুরোপুরি বাংলার দল। বরং, বাকিরা বিদেশি মতবাদপুষ্ট। ব্রিগেড সমাবেশ থেকে মোদী বলেন, ‘‘বিজেপি-র প্রতিষ্ঠার প্রেরণাই ছিলেন এক জন বাঙালি। বিজেপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যার ডিএনএ-তে বাংলা রয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে, ভিন্রাজ্যের বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলে নিয়মিত আক্রমণ করেন। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো নাম করে অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের ‘বহিরাগত’ বলে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন। তবে বিজেপি-ও ছেড়ে দিচ্ছে না। তৃণমূল তবু বাংলার বাইরের নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলে কিন্তু নন্দীগ্রামে মমতা ‘বহিরাগত’ বলেও আক্রমণ শুরু করেছে গেরুয়াশিবির। শনিবারই নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে ‘বহিরাগত’, ‘পরিযায়ী’ বলে আক্রমণ করেন। নন্দীগ্রামেই একটি সভায় তিনি বলেন, ‘‘শীতকালে যেমন ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ফোটে, এ বার তেমন বহিরাগতরা আসছে নন্দীগ্রামে। এদেরকে একটিও ভোট দেবেন না।’’
মোদী অবশ্য ‘বহিরাগত’ প্রশ্নে ব্যক্তি আক্রমণ করেননি। বিভিন্ন দলের সূচনার কথা উল্লেখ করে বলেন বিজেপি-ই একমাত্র ‘সম্পূর্ণ’ দেশি। আরও বেশি করে বাংলার। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিকে বহিরাগত বলছেন! আপনারা বলুন, কংগ্রেস কে তৈরি করেছিল? বামপন্থীরা এত বছর শাসন করেছে এখানে। মার্ক্স, লেনিনের আদর্শ বহিরাগত না বাংলার? তৃণমূলও তো কংগ্রেস থেকে তৈরি হয়েছিল। এই দলেরও গোত্র তো কংগ্রেস। স্বার্থের কারণে কংগ্রেস থেকে বেরিয়েই জন্ম হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি-র স্থাপনার মূলেই বাংলা।’’ বিজেপি-র সূচনার কথা উল্লেখ করে জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা বলেন। মোদীর কথায়, ‘‘বাংলার সুপুত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শে তৈরি হয়েছে এই দল। বাংলার গন্ধ লেগে রয়েছে। বাংলার সংস্কৃতির বিজেপি-তে। বিজেপি-র ডিএনএ-তে বাংলা।’’
মোদীর নীলবাড়ির লড়াইয়ের বক্তৃতায় গোটাটা জুড়েই ছিল বাংলার কথা। প্রতিটি লাইনে বাংলার মন ছোঁয়ার চেষ্টা। সেটা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রেই হোক কিংবা ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রেই হোক। সেই ধারা বজায় রেখেই তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বাংলার কাছে ঋণী। এই ঋণ আমরা শোধ করতে পারব না। তবে বাংলার মাটির তিলক লাগিয়ে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাব। কারণ, পদ্মফুলে বাংলার মাটির গন্ধ রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy