সারদা থেকে ‘নারদা’ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার কলকাতায় এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বড় সময় ব্যয় করেছেন শুধু এটা বোঝাতে যে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের কোনও আঁতাঁত হয়নি। এখানেও শেষ নয়। তৃণমূলের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং হয়নি বলে এ বার বার্তা দিতে নেমে পড়লেন দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। সাংবাদিক বৈঠকে বুধবার ফের এ কথা বলেন সর্বভারতীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।
এই কথাটা বিজেপিকে বারবার বলতে হচ্ছে কেন? একটি সূত্রের মতে, বিজেপি নেতারা বুঝে গিয়েছেন আঁতাঁতের তত্ত্ব গ্রামগঞ্জে চলে গিয়েছে। রাজনীতিতে ধারণাই সব। ভোটের আগে রাজ্য বিজেপি সম্পর্কে এমন ধারণা হলে বাকি কী রইল! বাম-কংগ্রেস উভয়েরই অভিযোগ, বিজেপি এবং তৃণমূলের গোপন বোঝাপড়ার কারণেই সারদা তদন্ত ঝিমিয়ে গিয়েছে। বিজেপি এক সময় ‘ভাগ মমতা ভাগ’ বলে স্লোগান তুললেও পরবর্তী কালে তাদের সেই ঝাঁঝ আর থাকেনি। এখন দু’দল পরস্পরকে যে আক্রমণ করছে, তা নেহাতই লোক দেখানো ব্যাপার!
সিদ্ধার্থনাথ এর উত্তরে আজ বলেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে ম্যাচ-ফিক্সিং হলে আমরা কি সিবিআই তদন্তের দাবি করতাম? তা হলে তো তৃণমূলকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে দিতাম। ঘুষ দেওয়ার জন্য আমাদের নেতা রাহুল সিংহের কাছে লোক না পাঠিয়ে সূর্যবাবু বা অধীরের কাছে লোক পাঠাতাম।’’ সিদ্ধার্থ এও বলেন, ‘‘নবান্নে গিয়ে মমতার সঙ্গে ‘ফিশফ্রাই’ খেয়েছিলেন বিমান বসুরা। বিজেপি নেতারা নন।’’ কিন্তু রাজ্য বিজেপি তবে দৃশ্যত মমতার বিরুদ্ধে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল কেন? দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই এর জন্য দায়ী। সংসদে বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপি-তৃণমূল সহযোগিতার ঘটনা রাজ্যে ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা দেয়নি। সেই মেঘ কাটানোর দায়িত্ব এখন অমিত শাহদেরই। আঁতাঁতের তত্ত্ব খারিজের অবশ্য বিজেপি-র যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মমতারও। ধারাবাহিক ভাবে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন মমতা। আজও তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বিহারেও ভয় দেখিয়েছিল। বাংলাতেও ভয় দেখাচ্ছে। আর শুধু বলছে, সিবিআই করে দেব। এ সব
বলছে, কারণ নিজেরাই ভয় পেয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy