তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ এবং অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়।
নীলবাড়ি দখলের লড়াই যখন তুঙ্গে, সেই সময় সারদা চিটফান্ড-কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ করল ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল তৃণমূলের বীরভূমের অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ ও সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের অন্যতম সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের। শনিবার ইডি-র তরফে টুইট করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা জানানো হয়।
ই়ডি-র টুইটে জানানো হয়েছে, কুণাল ঘোষের প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও ভোটের মরসুমেই কুণাল সারদা থেকে পাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শতাব্দীর কত পরিমান সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, কুণাল ও শতাব্দী দুজনেই সারদা গোষ্ঠীতে কর্মরত ছিলেন। শতাব্দী ছিলেন তাঁদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, আর কুণাল ছিলেন সারদার গ্রুপ মিডিয়ার সিইও। আর দেবযানী ছিলেন সারদা কর্তার সহযোগী। রাজ্য রাজনীতির কারবারীদের মতে, ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র পাশাপাশি সিবিআই-ও বড়সড় পদক্ষেপ নিতে পারে।
চিটফান্ড-কাণ্ডে বরাবরই তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলে এসেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এ বার সেই তদন্তে পদক্ষেপ করতেই প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল শিবির। শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের রাজ্যসভার উপ দলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বাগে আনার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন। যথা সময় তাঁরা এই রাজনীতির জবাব দেবে।’’
কুণালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি-র তরফে দাবি করা হলেও সেটা ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘ইডি আমরা কোনও সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করেনি। আমি স্বেচ্ছায় ২০১৩ সাল থেকে বেতন ও বিজ্ঞাপন বাবদ পাওয়া টাকা আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। যার সবটাই আয়কর দেওয়া বৈধ টাকা। আমি স্বেচ্ছায় যা যা দিয়েছি সেটাই ইডি গ্রহণ করেছে বলে আমার ধারণা। এর বাইরে আমার কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।’’ একই সঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘আমি দেখলাম ইডি শতাব্দী রায়ের নামও জানিয়েছে। কিন্তু ভোটের মুখে এই দু’টি নামকেই বাছা হল কেন আমার তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। আমি যতটা জানি মিঠুন চক্রবর্তীও নাকি কিছু টাকা ফেরৎ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম জানায়নি ইডি।’’ একই দাবি শতাব্দীরও। তিনি বলেন, ‘‘সম্পত্তি ও টাকা দু’টো আলাদা বিষয়। আর সেটাও বাজেয়াপ্ত নয়, আমি স্বেচ্ছায় এক বছরেরও বেশি সময় আগে ফেরৎ দিয়েছি। এখন ভোটের সময় সেটা বলার মানেটা আমার কাছে এবং মানুষের কাছে একেবারেই স্পষ্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy