গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যসভায় অনেক বিতর্ক, হল্লার পর পাশ হয়ে গিয়েছে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিল। বৃহস্পতিবার তা নিয়েই মেদিনীপুর শহরের বিড়লা মাঠের জনসভা থেকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। এই রাজ্যগুলির সাংসদরা লোকসভা, রাজ্যসভায় যেতে পারেননি। তখন মধ্যরাতে বিল পাশ করিয়ে দিল কেন্দ্র। দিল্লি (রাজ্য সরকার) সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিল। কী ক্ষমতার জোর! এমন প্রধানমন্ত্রী যেন সারা পৃথিবীতে আর না জন্মায়।’’
মেদিনীপুরে প্রথম দফার প্রচারের শেষ সভায় দিল্লি প্রশাসনিক বিলের প্রসঙ্গ এ ভাবেই টেনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির প্রশাসনিক বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আলোচনা করতে বঙ্গের ভোট মঞ্চ ছেড়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন রাজ্যসভার ৮ সাংসদ। জানা ছিল, তাঁরা উপস্থিত থাকলেও বিল পাশ হওয়া আটকাতে পারবেন না। কারণ, সংখ্যাধিক্যে বিজেপি এগিয়ে। তাও কেন গেলেন তাঁরা? আসলে মমতা বারবার তাঁর রাজনৈতিক সঙ্গী হিসাবে অরবিন্দ কেজরীবালের কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিরোধী দলগুলিকে একসঙ্গে লড়াই করার বার্তাও দিয়েছেন। সেই বার্তাই যেন রক্ষা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।
যদিও বিষয়টা যে তৃণমূল মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না, তার আভাস মিলেছিল ডেরেক’ও ব্রায়েনের টুইটে। ডেরেক টুইটে লিখেছিলেন, ‘পাঁচটি রাজ্যে দু’দিনের মধ্যে নির্বাচন। তাও তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদরা দিল্লি এসেছেন জিএনসিটি বিল পাশের গা-জোয়ারি রুখে দিতে। গণতন্ত্র, সংবিধানকে হত্যা করা হচ্ছে’। বৃহস্পতিবার মমতার কথাতে আরও স্পষ্ট হল দলের অবস্থান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy