Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Manoj Tiwary

Bengal Polls: ভোটের প্রচারে বেরিয়ে সেই খেলোয়াড়ি অনুশাসন মানতে পারছেন না মনোজ তিওয়ারি

পার্টি অফিসে ভোটের রণনীতি ঠিক করার সঙ্গে ক্যারম খেলেও জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মনোজ। ব্যস্ততার ফাঁকেই কখনও পার্টি অফিস আবার কখনও তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে সেরে নিচ্ছেন মধ্যাহ্নভোজ।

প্রচন্ড গরমেও প্রচারে ব্যস্ত মনোজ তিওয়ারি।

প্রচন্ড গরমেও প্রচারে ব্যস্ত মনোজ তিওয়ারি। ছবি - টুইটার

সব্যসাচী বাগচী
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৩০
Share: Save:

ঠাকুর ভক্ত হলেও আজ পর্যন্ত কোনওদিন উপোষ করেননি। ছোটবেলায় অনেক দিন আধপেটা থেকে শুয়ে পড়েছেন। তাই মনোজ তিওয়ারি জানেন খালি পেটে থাকার যন্ত্রণা। আর খেলার মাঠ হোক কিংবা রাজনীতির মঞ্চ, এই লড়াই তো খালি পেটে সম্ভবই নয়। তবে খাবার নিয়ে বেশ সচেতন শিবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।

এখন নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। সারা দিন রোদে গরমে হাওড়ার অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন৷ খেলোয়াড় জীবনে নির্দিষ্ট অনুশাসনের মধ্যে শরীর এবং খাদ্যাভ্যাস চর্চা করে এসেছেন। নতুন ইনিংসে কি তা সম্ভব হচ্ছে? মনোজ বললেন, ‘‘প্রোটিন কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য যাতে থাকে, সেদিকে সবসময় নজর রেখে এসেছি। তবে সত্যি বলতে এখন অতটা মানা হচ্ছে না ৷’’

এমনিতে সকালে পাউরুটি, ডিম খেলেও এখন ভোটের বাজারে কর্ণফ্লেক্স ও দুধে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তারপর বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ি বাড়ি প্রচারে। একই সঙ্গে চলছে কর্মিসভা। এর ফাঁকে আবার পার্টি অফিসে ভোটের রণনীতি ঠিক করার সঙ্গে ক্যারম খেলেও জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মনোজ। ব্যস্ততার ফাঁকেই কখনও পার্টি অফিস আবার কখনও তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে সেরে নিচ্ছেন মধ্যাহ্নভোজ।

করোনার পরোয়া না করে এ ভাবেই মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন মনোজ।

করোনার পরোয়া না করে এ ভাবেই মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন মনোজ।

ওঁর বাড়ির সকলে নিরামিষ খান। তবে মনোজ বাচ-বিচার করেন না। দুপুরে তাঁর পাতে পাতলা মুশুরির ডাল, ভাত, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা। রাতে রুটি, পনিরের তরকারি থাকলেই চলে যায়। আর মাঝেমধ্যে পাতে দুই-এক টুকরো মুরগী কিংবা মাছ পড়লে তো কোনও কথা নেই। মনোজ বলছেন, “খেলাধুলা করার সময় অনেক নিয়ম মেনে চললেও এখন তো সবকিছু মানতে পারছি না। তবে প্রচন্ড গরমের মধ্যে প্রচারের কাজ করতে হচ্ছে বলে জল এবং ওআরএস বেশি করে খাচ্ছি। এছাড়া কোনও উপায় নেই।”

এমনিতে ভূমিপুত্র। এর মধ্যে আবার খ্যাতনামী। ফলে তাঁকে দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ছে। এরই মধ্যে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। প্রচারের চাপে সবসময় মুখে মাস্ক দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সেটা নিয়ে ওঁর চিন্তা আছেই। তাই সঙ্গে থাকছে স্যানিটাইজার ও কাড়া। জল এবং ওআরএসের সঙ্গে চলছে প্রচুর পরিমাণে কাড়া সেবন। তবে সন্ধে হলে মাঝেমধ্যে চপ, মুড়ি সহযোগে ভাঁড়ে চা তো আছেই।

প্রচন্ড গরমে ৯০ ওভার ফিল্ডিং করেছেন। অনেক ম্যাচে বাংলাকে বাঁচানোর জন্য ৫০-৬০ ওভার ব্যাট পর্যন্ত করতে হয়েছে। আর এখন এই রোদে চলছে প্রচারের কাজ। কোনটা বেশি কঠিন? মনোজ বলছেন, “ওই ভাবে তুলনা করা উচিত নয়। দুটো লড়াই দুই রকম। তবে রাজনীতির মঞ্চ অনেক কঠিন। কারণ এখানে জনগণই সবকিছু।”

এত ব্যস্ততার পরেও রাত দশটার মধ্যে ঘরে ফেরা চাই। কারণ ভাল করে ঘুম সেরে যে আবার পরেরদিন সকাল থেকে শুরু করতে হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy