মিঠুন চক্রবর্তীর হাত থেকে বিজেপি পতাকা তুলে নিচ্ছেন অরিন্দম। ছবি সংগৃহীত।
বিজেপি-তে যোগ দিলেন এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও অমিত মালব্যের উপস্থিতিতে বিজেপি-র পতাকা হাতে তুলে নেন অরিন্দম।
বিজেপি-তে যোগ দিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরিন্দম বলেন, ‘‘অমিত শাহের আমন্ত্রণেই বাংলায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিলাম। অনেক দিন ধরেই ওঁরা আমাকে ওঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য বলছিলেন। তবে এখনও খেলা চালিয়ে যেতে চাই। শেষ দু’ বছরে দুটো আইএসএল ফাইনাল খেলেছি। একটা জিতলেও হারতে হয়েছে এবারের ফাইনাল। তবুও ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ পেয়েছি। তাই এখনই রাজনীতিতে পুরোপুরি আসতে চাই না। আরও ৫-৭ বছর এভাবেই আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আরও অনেক খেতাব জিততে চাই।’’
সামনেই এএফসি কাপ। নিজেকে তার জন্য তৈরি করছেন অরিন্দম। এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক বলেন, ‘‘আমি কিন্তু ভোর ৬টায় উঠে অনুশীলন করি। রোজই নিজেকে শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি। আমি সবটা সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সবসময় আমি প্রচারে যাব, এমনটা নয়। নিজেকে এএফসি কাপের জন্য তৈরি করছি।’’
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত, এমনটাই জানালেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। তিনি জানান, ‘‘আমি এটা নিয়ে আলোচনা করিনি কারোর সাথে। কারণ এটা আমার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত।’’
অমিত শাহের সঙ্গে পরিচয় হওয়া নিয়ে এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ওঁর দেখা হয়। আমাদের মতো তরুণদের এগিয়ে আসার জন্য আবেদন করেন তিনি। বাংলায় পরিবর্তন আনার ডাক দেন। ফোন করেও কথা বলেছেন। ওঁর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছি।’’ মিঠুন চক্রবর্তীর থেকে পতাকা নেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত অরিন্দম। তিনি বলেন, ‘‘উনি যে এতটা মাটির মানুষ তা জানতাম না। ১০-১৫ মিনিট ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি ফুটবল দেখেন সেটা শুনে ভাল লাগল।’’
খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে আসা নিয়ে অরিন্দম বলেন, ‘‘একজন খেলোয়াড় সাধারণ মানুষের কাছে আদর্শ। সাধারণ মানুষের মধ্যে যদি কিছু পরিবর্তন করতে পারি, এটাই বড় কথা। আমি বাংলার ছেলে। বাংলার যদি উন্নতি করতে পারি, সেটাই আসল।’’
তবে নতুন দলের থেকে এখনও কোনও নির্দেশ পাননি অরিন্দম। বলেন, ‘‘এটিকে মোহনবাগান প্রথমবার এএফসি কাপ খেলছে। এটা আমার দলকে জানানো আছে। ফলে সবাই জানে, খেলাই আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে।’’
কিছুদিন আগেই বাবাকে হারিয়েছেন অরিন্দম। তবে মায়ের সমর্থন পেয়েই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তিনি বললেন, ‘‘আমার মা বলেছিলেন, যেটা ভাল বুঝব সেটাই যেন করি। আমার ক্লাবে যোগ দেওয়ার ব্যাপারেও ওঁরা সেভাবে মাথা ঘামাননি। আমার সিদ্ধান্তকে সকলেই সমর্থন করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy