একাধিক ভোট কেন্দ্রের সামনে জল জমে থাকায় নাস্তানাবুদ হলেন সাধারণ মানুষ থেকে ভোটকর্মীরা। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি। উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণে বেশি। তাতেই শুক্রবার রাত পর্যন্ত জলমগ্ন রইল বেহালা ও বাঁশদ্রোণীর একাংশ। একাধিক ভোট কেন্দ্রের সামনে জল জমে থাকায় নাস্তানাবুদ হলেন সাধারণ মানুষ থেকে ভোটকর্মীরা। আজ, শনিবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে বুথের সামনে থেকে জমা জল দ্রুত সরানোর বিষয়ে এ দিন বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আজ সকাল থেকে প্রতিটি বরোয় কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বেহালায় বৃষ্টি হয়েছে ৫৪ মিলিমিটার, যোধপুর পার্কে ৬২ মিলিমিটার, জিঞ্জিরাবাজারে ৬৫ মিলিমিটার। সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে বেহালার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড। এ দিন শকুন্তলা পার্কে ছিল হাঁটুজল। সরশুনা কলেজে আজ প্রায় তিন হাজার মানুষ ভোট দেবেন। এ দিন ওই কলেজের সামনে জল জমে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ওখানে জল জমে। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ বলেন, ‘‘১২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ১২৫ ও ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডেও জল জমেছে। ১১২, ১১৩ ও ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশেও জল নামেনি। কেইআইআইপি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ওই সমস্ত এলাকায় জল জমার সমস্যা কমবে।’’
বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১১২, ১১৩ ও ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ। ১১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁশদ্রোণীর রায়নগর প্লেস, নতুনবাজারের মতো এলাকা এ দিন রাত পর্যন্ত জলমগ্ন ছিল। রায়নগরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। সেই বিদ্যালয়ের সামনের অংশে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জল জমে ছিল। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি গোপাল রায় বলেন, ‘‘পাম্প চালিয়ে জল নামানোর কাজ করা হয়েছে। ফের বৃষ্টি হলে অবশ্য চিন্তার বিষয়। তবে, আমরা বাড়তি পাম্প মজুত রেখে সতর্কতা অবলম্বন করছি।’’ জল জমে থাকার জন্য কেইআইআইপি-ক দায়ী করে গোপাল বলেন, ‘‘কেইআইআইপি এখানে ঠিক মতো কাজ না করায় সমস্যা বাড়ছে। নিকাশি নালা তৈরি হলেও জল বেরোনোর রাস্তা করা হয়নি।’’
বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টিতে ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসনগর এলাকায় শুক্রবার দিনভর জল জমে ছিল। ওই এলাকার নিরঞ্জনপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ প্রায় চার হাজার মানুষ ভোট দেবেন। কিন্তু আগের দিন বিকেল পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের সামনে জল জমে ছিল। একই ভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লি এলাকায়। সেখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট। এ দিন ওই বিদ্যালয়ের সামনেও বেলা পর্যন্ত জল জমে ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy