দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছবি: ফেসবুক।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে ভোটের মুখে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের প্রচারে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে বিজেপি। দিল্লিতে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি এবং দলের আরও চার জন প্রতিনিধি শুক্রবার দিল্লি গিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তার পর কমিশনের দফতরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে শশী ছাড়াও ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখেল এবং সাগরিকা ঘোষ। তাঁরা কমিশনের দফতরে গিয়ে নানা অভিযোগ-সহ একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। শশী জানান, তাঁদের চিঠি গ্রহণ করেছে কমিশন। আগামী সোমবার তা নিয়ে আলোচনা হবে। ওই দিন আবার তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কমিশনের দফতরে যাবেন।
কমিশনের দফতরের বাইরে শশী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা কমিশনের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছিলাম। সোমবার সেই সময় পাওয়া গিয়েছে। আবার আমাদের প্রতিনিধি দল আসবে। আজকের চিঠি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’’
শশী আরও বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দেশের সর্বত্র এখন আদর্শ আচরণবিধি চলছে। এই সময়ে কোনও দলের কোনও অভিযোগ থাকলে কমিশনের দ্বারস্থ হতে হয়। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। আমাদের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসদের বাড়িতে তারা হানা দিচ্ছে। প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, কাউকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। প্রার্থীকে বিব্রত করার অর্থ প্রচার আটকানো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে এটা করা হচ্ছে। শুধু ইডি, সিবিআই নয়, আয়কর দফতর, এনআইএ-র মতো সংস্থাও আমাদের নেতাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। কর্মীদের ব্যতিব্যস্ত করা হচ্ছে। এই বিষয়টি আটকানোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। দেশের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি। লক্ষ্যনীয়, সব কেন্দ্রীয় সংস্থাই কিন্তু বাংলায় আসছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে যাচ্ছে না। দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব কমিশনের। আমরাও সেটাই চাইছি।’’
উল্লেখ্য, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। মহুয়া হাজিরা এড়িয়েছেন। তিনি প্রচারে ব্যস্ত বলে জানান। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বোলপুরের বাড়িতে কিছু দিন আগে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। মন্ত্রীকে বুধবার ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তিনিও হাজিরা দিতে যাননি। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের বাড়িতে টানা ৭০ ঘণ্টা তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁকেও ১৫ দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy