প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কৃষ্ণনগরের রানিমা তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল। রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। মোদী এবং অমৃতার যে ফোনালাপ বিজেপির তরফে সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, ওই ফোনালাপ ছড়িয়ে দিয়ে বিজেপি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। কোথায় কোথায় বিধিভঙ্গ হয়েছে, অভিযোগপত্রে তা খুঁজে খুঁজে দেখিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
তৃণমূল কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছে, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের ফোনে কথা হয়েছে। সেই কথোপকথন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একে প্রচারের অঙ্গ বলে তুলে ধরা হচ্ছে। বিজেপির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলেও সেই লিঙ্ক পোস্ট করা হয়েছে। দু’জনের ওই কথোপকথন ভোটের আগে আদর্শ আচরণবিধির একাধিক অংশ লঙ্ঘন করেছে।’’ উল্লেখ্য, ইনস্টাগ্রামে বিতর্কিত পোস্টের লিঙ্কও অভিযোগপত্রে দিয়েছে তৃণমূল। তবে শুধু ইনস্টাগ্রাম নয়, সমাজমাধ্যমের সর্বত্রই বিজেপি ওই ফোনালাপ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:
তৃণমূলের বক্তব্য, ‘‘ফোনের কথোপকথনে মোদী বলছেন, ‘এই তিন হাজার কোটি টাকা গরিব মানুষের, ওদের এই টাকা আমি ফেরত দিতে চাই।’ এটি ভুল তথ্য। ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা সরকার বিলিয়ে দিতে পারে না। ইডি যে ওই পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, তা যাচাইও করা হয়নি। ওই কথোপকথন থেকে এটা পরিষ্কার যে, মোদী নতুন কোনও প্রকল্প চালু করতে চলেছেন, যেখানে তিনি তিন হাজার কোটি টাকা বিলি করতে চান। ফলে মোদীর কথা আদর্শ আচরণবিধির বিরুদ্ধে। এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশুদ্ধতাকে নষ্ট করে। ভোটের আগে ভোটারদের ঘুষ দিয়ে প্রভাবিত করতে চাইছেন মোদী।’’
তৃণমূল আরও বলে, ‘‘ওই কথোপকথনে অমৃতাকে নিজের পূর্বসূরি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের উল্লেখ করে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘উনি না থাকলে আমরা কেউ হিন্দু থাকতে পারতাম না। আমাদের ভাষা, পোশাক সব বদলে যেত।’ এ থেকে পরিষ্কার, ধর্মের নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে। সেটাও আদর্শ আচরণবিধির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে মোদী এবং অমৃতা দু’জনেই ঐতিহাসিক চরিত্রের নাম উল্লেখ করেছেন। আদর্শ আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর তা-ও নিষিদ্ধ।’’ নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।