তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এক সময়ের সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিদায়ী সাংসদ লকেটকে দ্বিতীয় বার হুগলি লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, তিনি ভোটযুদ্ধে নামলেও কাউকে হারাতে আসেননি। তিনি এসেছেন, মানুষের মন জয় করতে। রবিবার পান্ডুয়ায় প্রচারে এসে এমনই জানালেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’।
পান্ডুয়ার বিভিন্ন গ্রামে শোভাযাত্রা করে ভোটপ্রচার সারেন তৃণমূলের রচনা। ধামসা-মাদলের তালে আদিবাসী মহিলাদের নাচ থেকে তাসা, সবই ছিল রচনার প্রচারে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে দেখতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন গ্রামের মহিলারা। ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তৃণমূল প্রার্থী। রচনাকেও ফুল ছুড়ে দিতে দেখা যায় মহিলাদের। গরমের জন্য রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক ভাবে কম থাকলেও তৃণমূল প্রার্থী এবং সমর্থকদের উৎসাহে কোনও খামতি নেই। প্রচার করতে করতে রচনা বলেন, ‘‘গরমের সময় গরম হবে। শীতকালে ঠান্ডা হবে। সে তো মেনে নিতে হবে। তবে এই গরমে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকাটা অভাবনীয়। প্রচারে ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ গলা ভেঙে গিয়েছে। তবে তার মধ্যেও প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ রচনা। হুগলি আসনে গত বার বিজেপি জিতেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী লকেটকে ভোটে পরাস্ত করতে পারবেন? তৃণমূল প্রার্থীর জবাব, ‘‘আমি বিজেপিকে হারাতে আসিনি। মানুষ যাঁকে চাইবেন তাঁর পাশে থাকবেন।’’
অন্য দিকে, চুঁচুড়ার মনসাতলা বিদ্যাসাগর পার্ক লাগোয়া এলাকায় হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনার পোস্টার, ফ্লেক্স ছেঁড়া নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। শনিবার রাতে ওই সব পোস্টার, ফ্লেক্স বিজেপি আশ্রিত লোকজন ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। রবিবার সকালে খবর পেয়ে দলীয় কর্মীদের নিয়ে ওই এলাকায় যান চুঁচুড়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এর আগে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে গত ১৬ তারিখ রোড-শো ছিল। সে দিন তোলাফটক হরিজন পল্লী এলাকায় রচনার ফ্লেক্স ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গৌরীকান্ত বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। এ সব বিজেপির কাজ এবং পুরনো খেলা। আর এ সব এখন আর চলে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনেও জানিয়েছি। তারা তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’
অন্য দিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের দাবি, তৃণমূল ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থীর ফ্লেক্স ছেঁড়ার মতো সময় নেই বিজেপি কর্মীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy