রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। লকেট চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা হোক বা লোকসভা— ভোট এলেই রাজ্যের বিরোধীদের নির্বাচনী প্রচারে উঠে আসে সিঙ্গুর থেকে টাটাদের ফিরে যাওয়ার কথা। লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে সিঙ্গুরে ফিরিয়ে আনবেন। যা নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ ছুড়লেন। অভিযোগ করলেন, লোকসভা ভোট আসতেই ‘টাটার কথা মনে পড়েছে’ বিরোধীদের।
শুক্রবার সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার ‘প্রতিশ্রুতি’ দেন লকেট। তিনি বলেন, ‘‘সিঙ্গুরের ক্ষেত্রে টাটারা এখনও একশো শতাংশ আগ্রহী। আমরা ক্ষমতায় এলে টাটাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’’ সিঙ্গুরের বেড়াবেড়িতে প্রচারের ফাঁকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে অভিযোগ করেন, পরিবেশগত ভাবে বাংলায় শিল্পের পরিবেশ আছে। কিন্তু ‘সিন্ডিকেটবাজি’, তোলাবাজি এবং তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে কোনও শিল্প আসতে পারছে না এ রাজ্যে। লকেট বলেন, ‘‘যুবকদের চাকরি নেই বলে তাঁরা পরিবার তৈরি করতে পারছেন না। এ কথা গ্রামের মহিলারাই জানাচ্ছেন। আমরা চাই, সিঙ্গুরে শিল্প আসুক, ছেলেরা কাজ পাক, পরিবার তৈরি হোক এবং বাড়িতে মা লক্ষ্মী আসুক।’’
সিঙ্গুরে প্রচারে বেরিয়ে টাটা নিয়ে সুর চড়ান বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষও। তিনি বলেন, ‘‘টাটাকে তাড়িয়ে গোটা রাজ্যের শিল্পের ভবিষ্যতকে এক যোগে নষ্ট করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।’’
সিঙ্গুর থেকে টাটা বিদায়ের ১৬ বছর পরেও নির্বাচন এলে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে ‘প্রাসঙ্গিক’ হয়ে ওঠে এই ইস্যু। বিরোধীদের অভিযোগ, সিঙ্গুর থেকে টাটার ন্যানো প্ল্যান্ট গুজরাতের সানন্দে সরে যাওয়ার পর বাংলায় না হয়েছে কৃষি, না হয়েছে অন্য কোনও শিল্প। শাসকদল তার পাল্টা দাবি করে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের আবার জমি ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়। লকেটের টাটা নিয়ে এই ‘প্রতিশ্রুতি’র পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী রচনা বাঁশবেড়িয়ায় বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগেও টাটাকে আনার কথা মনে পড়ল না। গত পাঁচ বছরেও মনে পড়ল না। হঠাৎ ২০২৪ সালে এসে মনে পড়ল। রাতে মনে হয় স্বপ্ন দেখেছে টাটাকে নিয়ে।’’
বাম প্রার্থী মনোদীপ টাটা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপিকে এক যোগে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘টাটাকে তাড়ানোর জন্য যে ধর্নামঞ্চ তৈরি হয়েছিল, সেখানে রাজনাথ সিংহ ছিলেন। এর জবাব তো আগে দিতে হবে। আর ১২ বছর তৃণমূল রাজ্যে শাসকের ভূমিকায় রয়েছে। সিঙ্গুরে শিল্প, কৃষি কিছুই হয়নি। লকেট চট্টোপাধ্যায় পাঁচ বছর ধরে সাংসদ। তাঁরও কোনও ভূমিকা নেই।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এগুলো বিভ্রান্তিকর রাজনীতি। নির্বাচন এলেই তারা এগুলো করে। সিঙ্গুরে শিল্প বামফ্রন্টই করতে চেয়েছিল। তাকে বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর আর কোনও শিল্প আসেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy