ভোটগ্রহণ শেষ। এ বার গণনার পালা। ভোট গণনায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। গণনায় তারা আরও কড়া ভূমিকা নিচ্ছে। গণনাকেন্দ্রে কাদের ঢুকতে দেওয়া হবে তা নিয়ে নির্দেশ আরও স্পষ্ট করে দিল কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, গণনায় কড়া নজর রাখা হবে। যা যা নির্দেশিকা রয়েছে তা সঠিক ভাবে পালন করতে বলা হয়েছে। অন্য দিকে, গণনায় ওয়েবকাস্টিং হবে না। যদিও সিসি ক্যামেরা থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের মতে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গণনাকেন্দ্রের ভিতরে যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তারক্ষী এবং রিটার্নিং অফিসারকে। কমিশন জানিয়েছে, গণনার কাজে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত কাউন্টিং সুপারভাইজার, কাউন্টিং অ্যাসিস্যান্ট এবং মাইক্রো অবজারভাররা গণনাকেন্দ্রের ভিতরে থাকবেন। এ ছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত এবং কর্তব্যরত সরকারি কর্মচারীরাও গণনাকেন্দ্রের ভিতরে যেতে পারবেন। তারা আরও জানিয়েছে, বুথে ঢুকতে দেওয়া হবে প্রার্থী, তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট এবং কাউন্টিং এজেন্টদের। এ ছাড়া সেখানে যেতে পারবেন কমিশন বা পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন রয়েছে এমন ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন:
অনেক জেলাশাসককে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করে ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। শনিবার তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) ওই আশঙ্কার কথা জানান। রবিবার তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানতে চেয়েছে, ওই দাবির সপক্ষে প্রমাণ দিলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। এমতাবস্থায় বিরোধীদের ওই সব আশঙ্কা দূর করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টদের উপস্থিতির উপর জোর দিচ্ছে কমিশন। তাদের এক আধিকারিকের কথায়, প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট গণনাকেন্দ্রের মধ্যে উপস্থিত থাকুক, এটা কমিশন চাইছে। তাতে গণনা প্রক্রিয়া আরও অনেক বেশি স্বচ্ছ হবে।