—প্রতীকী চিত্র।
বীরভূম জেলায় নির্বাচনের সময় বার বার উঠে এসেছে হিংসার ঘটনা। ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও জেলায় নতুন নয়। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলায় স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, প্রশাসন ও পুলিশের তথ্যের উপর ভিত্তি করে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হবে।
পাশাপাশি, গুরুত্ব দেওয়া হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগের উপরেও। কোনও বুথ নিয়ে আশঙ্কার কথা যদি কোনও রাজনৈতিক দল তুলে ধরে এবং সেই অভিযোগের যদি সারবত্তা থাকে, তা হলে সেই বুথগুলিকেও স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলার মোট ৩,০৭১টি বুথের মধ্যে ১৭৬টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত এই সংখ্যা বদলাতে পারে বলে জানান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। তিনি জানান, যে সমস্ত বুথ এলাকায় আগে হিংসা বা ভোট অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলিকে স্বাভাবিক ভাবেই স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া, আগের নির্বাচনে যে সমস্ত বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে এবং তার মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট কোনও একটি রাজনৈতিক দল পেয়েছে, সেগুলিকেও স্পর্শকাতর বুথের আওতায় আনা হচ্ছে। যে সমস্ত বুথে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে বা কোনও বুথে যদি পুনর্নির্বাচন হয়, সেটিকেও স্পর্শকাতর বুথের তালিকাভুক্ত করা হবে।
জেলাশাসক জানান, কোনও ভোটার বুথ এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি যদি দীর্ঘদিন সেখানে না থাকেন তা হলে তাঁকে অনুপস্থিত হিসেবে ধরা হয়। যদি কোনও বুথে এই অনুপস্থিত ভোটারের ভোট গড়ের থেকে বেশি পড়ে, তা হলে সেটিও আসবে স্পর্শকাতর বুথের আওতায়। এ ছাড়াও নির্বাচন ঘোষণার দিন থেকে গোটা ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন যদি কোথাও বোমাবাজি হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় বা রাজনৈতিক হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয় তা হলে সেই এলাকার বুথগুলিও স্পর্শকাতরের তালিকায় ঢুকে যাবে। পাশাপাশি, যদি এক বা একাধিক রাজনৈতিক দল কোনও এলাকায় অবাধ নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তা হলে তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই আশঙ্কার মধ্যে যদি কোনও রকম সত্যতা থাকে তা হলে সেই বুথগুলিকেও স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
জেলাশাসক বলেন, “নির্বাচনের সময় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্য প্রশাসন এবং পুলিশ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। স্পর্শকাতর বুথগুলির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব তো দেওয়া হবেই, তবে সমস্ত বুথেই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনা করা যায়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy