উচ্চ আদালতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হচ্ছে। ওই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তমলুকে অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে গত ৫ মে। অস্ত্র আইনেও মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন করেছিলেন এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। আদালত সূত্রে খবর, সেই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়েই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিজিৎ।
মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মিছিল তমলুক হাসপাতাল মোড়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনশনমঞ্চের কাছে পৌঁছতেই গন্ডগোল শুরু হয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান, ধাক্কাধাক্কিতে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। দাবি, বিজেপির মিছিল যাওয়ার সময় অভিজিৎ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলা হয়। সেই সময় মিছিল থেকে কয়েক জন জুতো নিয়ে চাকরিহারাদের অনশনমঞ্চের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় অনশনমঞ্চে উপস্থিত একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক আহত হন বলে অভিযোগ। এর পরেই অভিজিৎ-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের হয়।
সেই ঘটনায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি মইদুল ইসলাম বলেছিলেন, “অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আমরা চাকরিখেকো বলেই জানতাম। এঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই শুভেন্দু অধিকারীর হোমটাউন তথা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন, সেখানে গত ২৯ এপ্রিল থেকে অনশন চালাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকরিহারারা এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। শনিবার সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মিছিল থেকে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আমি নিজেও অনশন করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে পুলিশের সামনে আমাদের উপর হামলা হয়েছে, আমাদের প্রাণসংশয়ের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যে বড়সড় আন্দোলনে নামছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy