গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মনোনয়ন বাতিল নিয়ে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের মামলায় ‘সরাসরি হস্তক্ষেপ’ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রাক্তন আইপিএস। বলা হয়, তিনি ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’-এর জন্য আবেদনই করেননি।
সোমবার দেবাশিসের মামলাটি শোনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি পিভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদন শোনার পর বেঞ্চ জানিয়ে দেয় এতে সরাসরি শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। প্রয়োজনে আবারও নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে পারেন বিজেপির প্রার্থী হতে চাওয়া প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। কিন্তু এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশ দেবে না।
শুধু তা-ই নয়, সংশ্লিষ্ট মামলায় কার্যত ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় দেবাশিসকে। শীর্ষ আদালত বলে, ‘‘আপনি তো প্রশাসনের উচ্চ পদে কাজ করতেন। কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন। এই ভুল হয় কী করে?’’ শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’-এর জন্য আবেদন করেননি দেবাশিস। এখানে রাজ্য বা রিটার্নিং অফিসারের কোনও গাফিলতি চোখে পড়ছে না।
তৃণমূলের শতাব্দী রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে দেবাশিসকে প্রার্থী করে বিজেপি। গত ২৫ এপ্রিল দেবতনু ভট্টাচার্য নামে এক বিজেপি নেতা বীরভূমের জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন দেবতনু ভট্টাচার্যও। ঠিক তার পর দিনই দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিলের খবর জানা যায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ না দেওয়ায় দেবাশিসের প্রার্থিপদ বাতিল করা হয়েছে। যদিও তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলে বিজেপি। অভিযোগ, দেবাশিস ইস্তফা দিয়েছেন। আইপিএস অফিসারের পদ থেকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু প্রসূন যে হেতু তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন, তাই তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার দেবাশিসকে ছাড়পত্র দেয়নি।
অন্য দিকে, দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিলের পরেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সব পদেই প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। তবে আমরা কোর্টে যাব, রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করব।’’ যদিও শেষ পর্যন্ত ওই মামলায় হস্তক্ষেপই করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। অন্য দিকে, কমিশন সূত্রে খবর, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা পুনর্বিবেচনার কোনও সুযোগ নেই। তাই দেবাশিস আবার কমিশনের দ্বারস্থ হলেও আগের সিদ্ধান্তের বদল হবে না বলেই জানাচ্ছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy