অনুব্রতের কাটআউটে আবির। সোমবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র
অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে তাঁর কাটআউটের মুখে ও পায়ে সবুজ আবির মাখিয়ে রঙের খেলায় মাতলেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকেরা৷ দোলের দিন এমনই দৃশ্য দেখা গেল জেলা সদর সিউড়িতে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, অনুব্রত বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতা, কর্মীদের কাছে আদর্শ। তাই তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে মাঠে নামতে উৎসাহী সবাই। যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। অনুব্রতের অবর্তমানে তৃণমূল জেলায় আর কোনও নেতা তৈরি করতে পারেনি বলে দাবি তাদের।
জেলা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত। এক বছরের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তার পরেও জেলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক রয়েছেন তিনি। বিশেষ করে কোনও ভোট এলেই তৃণমূলে তাঁর কথা ওঠে। আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রাক্কালেও বদল হয়নি পরিস্থিতির৷ সোমবার সিউড়িতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে রাখা প্রমাণ আকারের অনুব্রতর ছবিকে ঘিরে দলীয় নেতা, কর্মীদের আবির মাখানো নিয়ে যে উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে, তাতে তৃণমূলের অন্দরে অনুব্রতের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আর সন্দেহের অবকাশ থাকে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দোল উপলক্ষে সোমবার সিউড়ির দলীয় কার্যালয়ে আবির খেলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। সে মতো এ দিন সকাল ৯টা থেকেই দলীয় কর্মী, সমর্থকেরা ভিড় করতে শুরু করেন কার্যালয়ের সামনে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন সিউড়ির বিধায়ক তথা জেলার কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি ১ ব্লকের সভাপতি প্রশান্তপ্রসাদ লালা-সহ সিউড়ি পুরসভার অন্য পুর প্রতিনিধিরা৷ তবে দলীয় কর্মীরা নেতাদের সঙ্গে রঙের উৎসবে মেতে ওঠার আগে হাতে সবুজ আবির নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রতের ছবিতে সবুজ আবির মাখিয়ে দেন। পায়ে আবির লাগিয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায় কয়েক জন কর্মীকে। এর পরে নেতাদের সঙ্গে রঙের উৎসবে শামিল হন কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে সিউড়ি ১ ব্লকের সভাপতি প্রশান্তপ্রসাদ লালা বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল আমাদের রাজনৈতিক প্রেরণা, আমরা তাঁর অনুগত সৈনিক। তাই তাঁর পায়ে আবির দিয়েই আমরা রঙের উৎসবের সূচনা করেছি। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনেও এগিয়ে যাব। অনুব্রত মণ্ডল আমাদের সঙ্গে ছিলেন, আমাদের সঙ্গে আছেন, আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। যে ভাবে ওঁকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে তাতে আমরা ধিক্কার, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তৃণমূলের সিউড়ি শহর যুব সভাপতি প্রিয়ম ভাণ্ডারি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল জেলায় আমাদের ক্যাপ্টেন ছিলেন, আছেন, থাকবেন। ওঁর পায়ে রং দিয়ে আশীর্বাদ নিয়েই আমরা সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে দোল উৎসব পালন করলাম।”
এই প্রসঙ্গে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “বীরভূম জেলায় তৃণমূল এতটাই ব্যক্তিনির্ভর ছিল যে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি কাজের জন্য জেলে থাকা ব্যক্তিকেই এখনও নেতা বলে মেনে নিতে হচ্ছে৷ এত দিনেও জেলায় এক জন বিকল্প নেতা তৈরি করতে পারল না ওঁরা।” পাল্টা বিকাশ বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের দিকে না তাকিয়ে ওঁরা আগে নিজেদের সংগঠনের কথা ভাবুন। অনুব্রত মণ্ডল মানুষের আবেগ। এই আবির মাখানো সেই আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy