Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

ভোটের মুখে বহরমপুরে গীতাপাঠ! নেপথ্যে বিজেপি, বলছে বিরোধীরা, সব পক্ষকে আমন্ত্রণের দাবি সংগঠকদের

আয়োজকদের দাবি, দোল পূর্ণিমা উপলক্ষেই গীতাপাঠের আয়োজন। যদিও তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের পাল্টা দাবি, ভোটের মুখে বিজেপিই ধর্মীয় জিগির তোলার চেষ্টা করছে মুর্শিদাবাদে।

বহরমপুরে গীতাপাঠের আসরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

বহরমপুরে গীতাপাঠের আসরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:০০
Share: Save:

কলকাতার পর এ বার বহরমপুর। মাসখানেকের ব্যবধানে আবার গীতা পাঠের আসর। সনাতন সংস্কৃতি সংসদের ব্যানারে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ৫০ হাজার কন্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন হয়েছে। সংগঠকরা একে ‘অরাজনৈতিক’ অনুষ্ঠান বলে দাবি করলেও গোটা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক বিজেপি শিবির, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

মুর্শিদাবাদ জেলা যাদব মহাসভা, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু জন্মোৎসব কমিটি এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের আয়োজনে ২৪ মার্চ, রবিবার বহরমপুরের ফরাসডাঙ্গা লাগোয়া এলাকায় ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে এই আয়োজন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বঙ্গ বিজেপির তাবড় নেতাদের। শুধু বিজেপি নয়, আমন্ত্রণ গিয়েছে স্থানীয় বিদায়ী সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর কাছেও, দাবি উদ্যোক্তাদের।

বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “গীতাপাঠের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি অধীরবাবুকে আমন্ত্রণ করছি। উনি নিজেও আসুন। গীতা তো সবার। গীতাপাঠ সব রাজনৈতিক দলের। ওঁকে কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণও করা হয়েছে। কিন্তু, উনি আসবেন না। উনি ভাবছেন গীতাপাঠে গেলে ওঁর কিছু ভোট কমে যাবে।” যদিও অধীর আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলছেন, ‘‘জানি না কে আমন্ত্রণ করেছেন। আমি কেন যাব? আমার বাড়িতেই তো গীতা আছে। গীতাপাঠ আমি বাড়িতে করি।’’ মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘ধর্মীয় জিগির তৈরি করে তৃণমূল এবং বিজেপি ভোটের মেরুকরণের চেষ্টা করছে। ধর্ম সম্পর্কে মুর্শিদাবাদের মানুষ যথেষ্ট সচেতন। তৃণমূল এবং বিজেপির পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে তাঁরা রাজনীতি সচেতন মানুষের মতোই নিজস্ব মতপ্রকাশ করবেন।’’ মুর্শিদাবাদ সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘সত্যিই যদি ধর্মীয় উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তা হলে কিছু বলার নেই। তবে নির্বাচনের আগে ছদ্ম সংগঠনের আড়ালে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের প্রচার নিয়ে সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলছেন।’’

অনুষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা কার্তিক মহারাজ অবশ্য বলেন, ‘‘পৃথিবীর বহু দেশে সসম্মানে গীতাপাঠ করা হয়। আর যে সনাতনভূমি ভারতবর্ষ থেকে গীতার উৎস, সেখানে গীতাকে উপেক্ষিত রাখার কোনও মানে নেই। গীতা শুধু ধর্মগ্রন্থ নয়, এটি একটি দর্শন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy