জেলার 'ভূমিপূত্র' কিংবা 'ভূমিকন্যা'কে বিজেপি প্রার্থী করার দাবিতে রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির বিক্ষুব্ধদের।
লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে উত্তর দিনাজপুর জেলার ‘ভূমিপুত্র’ বা ‘ভূমিকন্যাকে’ প্রার্থী করার দাবিতে রায়গঞ্জে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধেরা’। ওই আন্দোলন শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেকে ‘ভূমিপূত্র’ দাবি করে রায়গঞ্জ বিধানসভা এলাকায় প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ বিধানসভার মাড়াইকুড়া, বাহিন, কমলাবাড়ি-১ ও ২ পঞ্চায়েতে প্রচার চালান কৃষ্ণ। প্রচারে নিজেকে ‘ভূমিপুত্র’ বলে দাবি করে তাঁকে ভোটে জেতানোর আর্জি জানান।
এ দিন প্রচার শুরুর মুখে রায়গঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কৃষ্ণ। সেখানে রায়গঞ্জের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে নিশানা করেন কৃষ্ণ। পাল্টা, কৃষ্ণকে ‘দলবদলু’ ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে সুর চড়ায় বিজেপি। তিনি সাংসদ নির্বাচিত হলে তৃণমূলে থাকবেন কি না, পরোক্ষে সেই প্রশ্নও তুলেছে বিজেপি। এ দিন কখনও পদযাত্রা, কখনও হুডখোলা গাড়িতে চেপে রায়গঞ্জের ওই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার চালান কৃষ্ণ। তিনি বলেন, “আমি জেলার ভূমিপুত্র। এক বার আমাকে রায়গঞ্জের সাংসদ নির্বাচিত করে রেল পরিষেবা-সহ জেলার সার্বিক উন্নয়নের সুযোগ দিন।” দেবশ্রীকে বিঁধে কৃষ্ণর মন্তব্য, “পাঁচ বছরে বিদায়ী সাংসদকে দেখা যায়নি। রায়গঞ্জের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়েছে। উনি ‘বহিরাগত’ বলে এমন হয়েছে।”
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার কৃষ্ণকে পাল্টা বলেছেন, “উনি বিশ্বাসঘাতক, দলবদলু। বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জের বিধায়ক হয়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। লোকসভা ভোটে মানুষ ওঁকে সমর্থন করবেন না।” কৃষ্ণ রায়গঞ্জের সাংসদ নির্বাচিত হলে তিনি তৃণমূলে থাকবেন কি না, পরোক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, “কৃষ্ণ ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনও নিজের গ্রাম, কখনও দ্বারকা, মথুরা ও অন্য জায়গায়। কৃষ্ণের এটাই তো জীবনী।” এ বিষয়ে কৃষ্ণর প্রশ্ন, “ভোটে জিতে আমি যদি বিজেপিতে যাই, তা হলে সুকান্তবাবুরা রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী বাছাই করার কথা বলছেন কেন? বিজেপির ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রতিবাদে বিজেপিকে সময় দিয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” দেবশ্রীর বদলে জেলার ‘ভূমিপূত্র’ বা ‘ভূমিকন্যাকে’ বিজেপি প্রার্থী করার দাবিতে এ দিন বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধদের’ অবস্থান-বিক্ষোভ দু’দিনে পড়ল। দলের জেলা কার্যালয়ের কাছে ওই কর্মসূচির নেতৃত্বে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি বীণা ঝা। এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেবের বক্তব্য, “তৃণমূলের মদতে দলের বাইরের লোকেদের আন্দোলনকে দল কোনও রকম গুরুত্বই দিচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy