Advertisement
Back to
Bhupatinagar

ভূপতিনগরে বিধায়ক এবং ওসির তুমুল বচসা! ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ ছাড়াই বিজেপি নেতার খোঁজ কার্যালয়ে?

সোমবারই এক বিজেপি নেতার গ্রেফতারি সংক্রান্ত একটি মামলায় ভূপতিনগর থানার ওসিকে ভর্ৎসনা করেছে হাই কোর্ট। মঙ্গলবারই এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।

গত তিন দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর নিয়ে শোরগোল চলছে।

গত তিন দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর নিয়ে শোরগোল চলছে। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভূপতিনগর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০২:৫৯
Share: Save:

গত তিন দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর নিয়ে শোরগোল চলছে। এ বার সেই ভূপতিনগরেই রাতের অন্ধকারে ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ ছাড়া বিজেপি বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে এক নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এবং ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ দাস। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে তীব্র কথাকাটি চলে দু’জনের। শেষ পর্যন্ত বিধায়কের কার্যালয় থেকে খালি হাতেই চলে যায় পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনায় সোমবার রাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ভূপতিনগরের ওসি গোপালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল স্থানীয় অর্জুননগরে বিজেপি বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। সেই সময় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ কার্যালয়েই ছিলেন। পুলিশ দাবি করে, এক অভিযুক্তকে তাড়া করার সময় তিনি গা ঢাকা দিতে বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছেন। তাঁকে ধাওয়া করে পুলিশও বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকেছে। কিন্তু বিতণ্ডার সূত্রপাত হয় যখন পুলিশের কাছে ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখতে চান বিধায়ক।

বিজেপির অভিযোগ, বিকেলে তাদের দলের এসসি মোর্চার সভাপতিকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে বিজেপির সহ-সভাপতি বিভাস প্রধানকে চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। ওই সময় বিভাস দৌড়তে দৌড়তে বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। তাঁকে পাকড়াও করতে গিয়েই পুলিশ সটান বিজেপি কার্যালয়ে পৌঁছে যায়। এ নিয়ে শুরু হয় তর্কাতর্কি। অভিযোগ, বিজেপি নেতারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। প্রয়োজনে থানা ঘেরাও করা হবে বলেও আওয়াজ তোলেন কেউ কেউ। এর পরেই ওসি পিছু হটেন বলে দাবি পদ্মশিবিরের। বিধায়ক এবং ওসির তর্কাতর্কির একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যদিও যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে গোটা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিধায়ক কার্যালয়। সেখানে ঢুকে আমাদের নেতা এবং কর্মীদের হেনস্থা করেছে পুলিশ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বড়সড় আন্দোলনে নামা হবে।’’ যদিও এ নিয়ে পুলিশের তরফে কেউ মন্তব্য করতে চাননি।

উল্লেখ্য, সোমবারই এক বিজেপি নেতার গ্রেফতারি সংক্রান্ত একটি মামলায় ভূপতিনগর থানার ওসিকে ভর্ৎসনা করেছে হাই কোর্ট। মঙ্গলবারই একটি রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE