বাঁ দিক থেকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমার এবং প্রশান্ত কিশোর। ছবি: পিটিআই।
বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) ধারাবাহিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। পিকে দাবি করলেন, লোকসভা ভোটে ক্ষতির সম্ভাবনা মেনে নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সভাপতিকে জোটে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।
পিকের মতে ‘ইন্ডিয়া’র কাছে বড় ধাক্কা হলেও বিজেপির পক্ষে নীতীশের ‘ঘর ওয়াপসি’ মোটেই লাভজনক নয়। বরং গত দেড় বছর ধরে বিহারে ধারাবাহিক ভাবে নীতীশ বিরোধী প্রচার চালানোর পক্ষে লোকসভা ভোটের প্রচারে তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে ওঠা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে বিড়ম্বনার হতে পারে। তবে কেন নীতীশকে জোটে ফেরাল বিজেপি? ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি আসলে একটা লড়াই হেরে গোটা যুদ্ধটা জেতার অঙ্ক কষেছে।’’
কী সেই অঙ্ক? পিকের মতে, বিরোধী জোটের সূত্রধর হিসাবে কুশলী রাজনীতিক নীতীশ রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে বিজেপিকে লোকসভা ভোটে হারানোর যে পরিকল্পনা করেছিলেন, এই পদক্ষেপে তা এলোমেলো হয়ে যাবে। পাশাপাশি পিকের মন্তব্য, ‘‘নীতীশের এনডিএতে প্রত্যাবর্তনে ‘ইন্ডিয়া’ মনস্তাত্ত্বিক চাপে পড়বে।’’ তবে ভোটের অঙ্কে বিজেপির তেমন কোনও লাভ হবে না বলে দাবি করেন পিকে।
২০১৮ সালে জেডিইউ-তে যোগ দিয়ে দলের সহ-সভাপতি হয়েছিলেন পিকে। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই পিকের পরিচিতি নীতীশের ‘কট্টর সমালোচক’ হিসাবে। বিহারে পরবর্তী বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা ২০২৫ সালে। পিকের দাবি, সেই নির্বাচনে নীতীশের দল জেডিইউ সে রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০টির বেশি জিততে পারবে না। তাঁর কথায়, ‘‘যে জোটের হয়েই লড়ুন না কেন, নীতীশের দল যদি ২০টির বেশি আসনে জেতে, আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।’’
প্রসঙ্গত, বিহারে নীতীশের জোট বদলের পরেই পিকে দাবি করেছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবং বিহার বিধানসভা ভোটে জেডিইউ-এর বিপর্যয় হবে। এর পরে তিনি পূর্বাভাস দেন, মোদীর নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেতে চলেছে এনডিএ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বাংলায় নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে পিকে জানিয়েছিলেন, বিজেপি ১০০ আসনে জিতলে তিনি ‘নির্বাচনী পরামর্শদাতার’ কাজ ছেড়ে দেবেন। তাঁর সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy