লকেটের বিরুদ্ধে পোস্টার চন্দননগরে। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল চন্দননগরের বোড়াইচণ্ডীতলায়। ফের শোরগোল পড়ল বিজেপিতে।
বুধবার বোড়াইচণ্ডীতলার কয়েকটি দেওয়ালে ওই পোস্টার কারা সাঁটিয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা পোস্টারে ‘লকেটের হাত থেকে বাঁচানোর’ দাবি তুলেছেন ‘মণ্ডল সভাপতি’রা। তাতে অবশ্য কোনও মণ্ডল সভাপতির নাম নেই। লকেট এই মণ্ডলে পাঁচ বছরে প্রায় আসেননি বলে পোস্টারে দাবি করা হয়েছে। এমনকি, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে পোস্টারে।
বিষয়টি তৃণমূলের কারসাজি বলেই দাবি করেছেন লকেট। তিনি বলেন, ‘‘ভয় ছিলই। সিএএ কার্যকর হওয়ায় হার নিশ্চিত ধরে নিয়েই আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এতে কাজ হবে না।’’ চন্দননগর উত্তর মণ্ডলের সভাপতি গোপাল চৌবেও বলেন, ‘‘আমরা লকেটদির সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। তৃণমূল হারের ভয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’’
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল। দলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের দাবি, ‘‘লকেটকে নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ওই দলের কর্মীদের উপর পড়ছে। কর্মীরা তাই লকেটের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন।’’
প্রসঙ্গত, নাম ঘোষণার আগে থেকেই লকেটকে নিয়ে দলীয় কোন্দল একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা সমাজমাধ্যমে সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। লকেটকে বাদ দিয়ে অন্য তিন নেতার নামে দেওয়াল লিখনও হয়েছিল। লকেট প্রার্থী হওয়ার পরেও কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ অব্যাহত।
বিজেপিরই একটি সূত্রের খবর, হুগলি কেন্দ্রে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেশ কিছুদিন ধরেই প্রকট। সম্প্রতি বাঁশবেড়িয়ায় সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো বাদানুবাদে জড়ান লকেট। যার জেরে বৈঠকের পরে মশাল মিছিলের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। বৈঠকে কর্মীদের সংখ্যাও যথেষ্ট ছিল না। সন্দেশখালি-সহ রাজ্যের নানা জায়গায় নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ওই দিন চুঁচুড়ায় লকেটের নেতৃত্বে বিজেপির সিপি অফিস অভিযানেও লোক তেমন হয়নি। হুগলিতে লকেটকে নিয়ে বিজেপির কোন্দল অবশ্য নতুন নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy