—প্রতীকী চিত্র।
গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে লড়াই ছিল প্রায় তুল্যমূল্য। আবার লোকসভার তুলনায় বিধানসভা ভোটে তাদের শতকরা ভোটের হার কমেছিল কিছুটা। কোথাও কোথাও ভোট বেড়েছে বামেদেরও। ফলে এ বার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কল্যাণী এবং হরিণঘাটায় লড়াই কঠিনতর হবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
কল্যাণী এক সময়ে দীর্ঘ দিনের 'বামদুর্গ' ছিল। রাজ্যে পালাবদলের হাওয়া শুরুর পরে সেখানে তৃণমূলের উত্থান হয়। একই চিত্র হরিণঘাটাতেও। তবে গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্ম মাথা তোলে। সে বার দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। কল্যাণীতে তারা প্রায় ৪৬ শতাংশ ভোট পায়, তৃণমূল পায় ৪২ শতাংশ। বামেরা পেয়েছিল আট শতাংশ, কংগ্রেস এক শতাংশের কাছাকাছি। আবার হরিনঘাটায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৭ শতাংশ, তৃণমূলের ৪২ শতাংশ। বামেরা পায় সাত শতাংশের কাছাকাছি, কংগ্রেস দেড় শতাংশের কাছাকাছি।
আবার গত বিধানসভা নির্বাচনে কল্যাণীতে বিজেপি পেয়েছিল ৪৪ শতাংশ ভোট, তৃণমূল ৪৩ শতাংশ। বাম-কংগ্রেস জোট পায় ১০ শতাংশ ভোট। হরিণঘাটাতেও বিজেপি এগিয়ে ছিল, কিন্তু ভোট শতাংশ কমে হয় ৪৬ শতাংশ। তৃণমূলের দিকে যায় ৩৯ শতাংশ। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল প্রায় ১২ শতাংশ ভোট।
প্রশ্ন হল, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাদে বাম কংগ্রেস জোট নিজেদের ভোট কিছুটা পুনরুদ্ধার করাতেই কি এই পরিবর্তন?
দক্ষিণ নদিয়ার মতুয়া বলয়ে অবস্থিত কল্যাণী এবং হরিণঘাটায় এ বার বড় ফ্যাক্টর নাগরিকত্ব আইন। তার ফল আখেরে কী হবে তা এখনও কোনও পক্ষের কাছেই স্পষ্ট নয়। আবার বিদায়ী সংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরোধী শিবির এখানে সক্রিয়। এ বার বামেরা যদি নিজেদের ভোট আরও বেশি পুনরুদ্ধার করে, তা হলে দক্ষিণ নদিয়ার এই দুই জায়গায় ভোটের ফলে আরও হেরফের হবে কি না সেই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে। বিশেষত যখন যে কোন শিবিরের দিকে যাওয়া ভোটের সামান্য হেরফেরেই বদলে যেতে পারে ‘লিড’।
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল অবশ্য দাবি করছেন, "আগেপ বারের মতোই মোদী--ঝড় হবে। আর শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। তাদের নাগরিকত্বের জন্য কাজ করছেন। মানুষ তাঁর পাশে থাকবেন।" তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, "বিজেপি আর বেশি দিন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আটকে রাখতে পারবে না। মানুষ তাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে আমাদের দিকে ঝুঁকছে।" আর, পিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে-র মতে, "এ বার আমাদের ভোট অনেকটাই বাড়বে। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই যে প্রতারণা করছে তা মানুষ
বুঝতে পারছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy