লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলীমনোহর জোশীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ-র বৈঠকের পরেই দুই প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলীমনোহর জোশীর বাড়িতে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবারই এনডিএ-র বৈঠকে জোটের সংসদীয় দলের নেতা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোদী। ওই বৈঠকের পরেই প্রথম আডবাণী, পরে জোশীর বাড়িতে যান তিনি। শেষে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বাড়িতে যান তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলা মোদী। তিন জনের হাতেই পুষ্পস্তবক দিয়ে হাতজোড় করে নমস্কার জানান মোদী। প্রতিনমস্কার করেন আডবাণী, জোশী, কোবিন্দও।
চলতি বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে আডবাণীকে। রাষ্ট্রপতি এবং মোদী নিজে এই প্রবীণ নেতার বাড়িতে গিয়ে স্মারক এবং মানপত্র তুলে দেন। দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী এবং সবচেয়ে বেশি দিন বিজেপি সভাপতির পদে থাকা আডবাণীর জন্মদিনেও তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন মোদী। বিজেপির অন্দরের অনেকেই মনে করেন, আডবাণী মোদীর রাজনৈতিক গুরু। গুজরাত হিংসার সময় মুখ্যমন্ত্রী মোদীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বিজেপির অন্য শীর্ষনেতারা। কিন্তু শোনা যায়, সেই সময় মোদীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আডবাণী।
অন্য দিকে, দীর্ঘ দিনের বিজেপিশ্রুতি হল, একদা রামজন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ জোশীর সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক খুব একটা ‘স্বাভাবিক’ নয়। গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনেও ডাক পাননি আডবাণী, জোশীরা। যদিও রামমন্দির ট্রাস্টের তরফে সেই সময় জানানো হয়েছিল, তাঁদের বয়স বিবেচনা করেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, যা দু’জনেই মেনে নিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলেই সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবে এনডিএ-র প্রতিনিধি দল। এই দলে মোদীর সঙ্গেই থাকার কথা এনডিএ-র দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক টিডিপির চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং জেডিইউর নীতীশ কুমারের। এ বার লোকসভায় সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জাদুসংখ্যা ছুঁতে পারেনি বিজেপি। সরকার চালাতে শরিক দলগুলিই এখন ভরসা পদ্মশিবিরের। এই পরিস্থিতিতে ‘মার্গদর্শকমণ্ডলী’র দুই নেতা আডবাণী এবং জোশীর কাছে মোদী মার্গ (পথ) দর্শন করতে গেলেন কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy