কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘মুসলিম সংরক্ষণ’ এবং ‘সম্পদ কেড়ে সংখ্যালঘুদের বণ্টনে’র পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছিলেন আগেই। এ বার লোকসভা ভোটের প্রচারে রামমন্দির প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের ধার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সভায় তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের লক্ষ্য হল, বাবরি মসজিদের খোলা তালা এনে রামমন্দিরে ঝুলিয়ে দেওয়া।’’
আশির দশকে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশ মেনে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের তালা খুলে রামলালার পুজোর ব্যবস্থা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পরবর্তী সময়ে রামমন্দির আন্দোলন দানা বাঁধার ক্ষেত্রে ওই ঘটনাকে ‘অনুঘটক’ বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। ১৯৯২-এ করসেবকদের হানায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরেও আদালতের নির্দেশে চালু ছিল ক্যানভাসের ছাউনির অস্থায়ী কাঠামোয় রামলালার পুজো।
আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পরে অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জমিতে নির্মিত হয় রামমন্দির। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন মোদী স্বয়ং। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, রামমন্দির আবেগ উস্কে দিতেই বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের ওই সভায় তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস যাতে বাবরি মসজিদের তালা এনে রামমন্দিরে ঝোলাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই বিজেপিকে ৪০০ আসনে জেতাতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
মোদীর অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস যে সুপ্রিম কোর্টের রায় পাল্টে রামমন্দির বন্ধ করতে চায়। এ ক্ষেত্রে প্রয়াত রাজীবের জমানার শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘রাজীব গান্ধী যে ভাবে শাহ বানো মামলার রায় পাল্টে দিয়েছিলেন, শাহজ়াদাও সে ভাবে রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বদলে দিতে চান।’’ প্রসঙ্গত, ১৯৮৫-তে শাহ বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বিবাহবিচ্ছিন্ন মুসলিম মহিলাদের খোরপোশ পাওয়ার অধিকার দিয়েছিল। কিন্তু রক্ষণশীল মুসলিম সমাজ সেই রায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার পরে মুসলিমদের জন্য আলাদা নতুন দেওয়ানি আইন আনা হয়েছিল। বিজেপি সে সময় থেকেই মুসলিমদের আলাদা আইনের বদলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সুর চড়াতে শুরু করে।