বাঁ দিক থেকে মোদী, গান্ধী এবং রাহুল। —ফাইল চিত্র।
আশির দশকে রিচার্ড অ্যাটেনবরোর ‘গান্ধী’ সিনেমা আসার আগে পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধীর কার্যকলাপ সম্পর্কে বিশ্ববাসী অবহিত ছিলেন না! এবিপি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওই মন্তব্যের জেরে লোকসভা ভোটের আবহে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বুধবার মোদীর সেই মন্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক্স হ্যান্ডলে পোস্টে রাহুল লিখেছেন, ‘‘মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে জানতে শুধুমাত্র ‘সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিজ্ঞান’-এর এক জন পড়ুয়াকে ছবিটি দেখতে হবে।’’ এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাহুল বুধবার মোদীর স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
সংবাদমাধ্যমে ওই সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, ‘‘মহাত্মা গান্ধীর জীবন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন নিয়ে তৈরি সিনেমার কারণেই বিশ্ব তাঁকে চিনতে পেরেছে। ভেবে দেখুন, স্বাধীনতা পরবর্তী পর্বে আমাদের দেশের কী দুর্দশা ছিল। মহাত্মা গান্ধীর জীবন নিয়ে যখন সিনেমা তৈরি হল, তখন বিশ্বের মানুষ তাঁর সম্পর্কে কৌতূহলী হলেন।’’ মোদীর দাবি, ভারতের স্বাধীনতার পরে আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেতে গান্ধীর ৭৫ বছর লেগে গিয়েছে!
স্বাধীনতার পরে কেন্দ্রে কংগ্রেস ধারাবাহিক ভাবে ক্ষমতা দখল করলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে গান্ধীকে পরিচিত করতে পারেনি বলেও ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘মার্টিন লুথার কিং এবং নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্ব জুড়ে কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। ভারতেরও উচিত ছিল মহাত্মা গান্ধীকে বিশ্ববাসীর চোখে এমনই এক ব্যক্তিত্ব হিসাবে তুলে ধরা।’’
মোদীর ওই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ‘‘মহাত্মা গান্ধীর উত্তরাধিকারকে কেউ যদি আঘাত করে থাকেন, তবে তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকারই বারাণসী, দিল্লি এবং আমদাবাদে গান্ধীবাদী প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছে।’’ তৃণমূলের দলীয় এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে মোদীকে ট্যাগ করে তাঁর সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘মহাত্মা গান্ধীকে কেউ চেনে না, এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy