Advertisement
E-Paper

বিজয় উৎসবে শতাব্দীর শর্ত, প্রকল্প নিলে চাই ভোটও

স্থান শিলদার মুনিয়াদা এলাকা। উপলক্ষ বিজয় মিছিল। শুক্রবার সেখানে এসেছিলেন শতাব্দী। আসলে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের সমর্থনে প্রচারে গত ২২ মে শিলদায় আসার কথা শতাব্দীর।

শিলদায় রোড শো’য়ে শতাব্দী রায়।

শিলদায় রোড শো’য়ে শতাব্দী রায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ২৩:১৭
Share
Save

দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে...!

‘ভারততীর্থ’ কবিতায় লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভাবার্থ পৃথক। তবু বাস্তবে দেওয়া-নেওয়ার সূত্রটা সোজা কথায় জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদের রায়, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিলে ভোট দেওয়াটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ভোট না দিলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও নেওয়া যাবে না।

স্থান শিলদার মুনিয়াদা এলাকা। উপলক্ষ বিজয় মিছিল। শুক্রবার সেখানে এসেছিলেন শতাব্দী। আসলে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের সমর্থনে প্রচারে গত ২২ মে শিলদায় আসার কথা শতাব্দীর। কিন্তু ওই দিন তিনি আসেননি। ওই দিন প্রচার করছিলেন বাঁকুড়ায়। সেদিন কথা দিয়ে আসতে পারেননি। তাই এ দিন এলেন। তবে যেহেতু ইতিমধ্যে ভোটের ফল বেরিয়েছে তাই মেজাজটাও ছিল ফুরফুরে। এ দিন প্রথমে মুনিয়াদায় সভার পর শিলদায় রোড শো করেন শতাব্দী। সভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি যদি কিছু পাই, সেটা ফেরত দেওয়াটা আমার দায়িত্ব। সেটা অন্য অন্য ভাবে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে ভোটের আকারে ফেরত দিতে হয়। আপনারা ভোটবাক্সে গিয়ে ভোট দিয়ে বুঝিয়েছেন আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। আপনাদের ধন্যবাদ, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে বেইমানি করেননি।’’

গতবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে হেরেছিল তৃণমূল। এ দিন শতাব্দীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এক একটি বাড়িতে এতগুলো প্রকল্প পাচ্ছেন তারপরও যখন ভোট দেওয়ার সময় দিচ্ছেন না। সেটা খারাপ লাগার কারণ। ভবিষত্যেও খারাপ লাগবে।’’ যে জায়গায় এ দিন শতাব্দীর কর্মসূচি ছিল সেখানে এ বার লিডরয়েছে তৃণমূলের।

শতাব্দীর এই বক্তব্যে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুন্ডু বলেন, ‘‘উনি একথা বলে তৃণমূলের ভাবমূর্তি স্পষ্ট করে দিলেন, সরকারি প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে রাজনীতি করে। মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। বিজেপি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাজনীতি করে না।’’

সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, ‘‘উনি স্বাধীন ভারতের সাংসদ কথা বলছেন না। পরাধীন ভারতের ইংরেজদের মত কথা বলছেন। এটা ভারতবর্ষ। অন্ন, বস্ত্র, আবাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুবিধা সবার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটা উনার বোঝার অভাব রয়েছে। সাংসদ হিসেবে অপদার্থতার মত কথা বলা ঠিক নয়।’’ চারবারের সাংসদ শতাব্দীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়েছিল আগেও। ঘটনাচক্রে সে ক্ষেত্রেও মূল নির্যাস ছিল দেওয়া-নেওয়া সংক্রান্ত হিসেব। ২০১৪ সালে শতাব্দী প্রচারে জানিয়েছিলেন, তাঁকে বিনে পয়সায় দেখার সুযোগ পাবে জনগণ। তবে শর্ত ছিল সেখানেও। বিনে পয়সায় দেখার পরিবর্তে দিতে হবে ভোট। বিরোধীদের বক্তব্য, ১০ বছর কেটে গিয়েছে বদলাননি শতাব্দী।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 Satabdi Roy

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}