জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঝাড়খণ্ডেরে যুবক মহম্মদ আহাসানুজ্জামান পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ আহসানুজ্জামান। শনিবার রাতে তাঁকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের ইসলামপুর থেকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল সুতির পুলিশ। রবিবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হুমকির কথা স্বীকার করেছেন।
শনিবার জাকির থানায় অভিযোগ করেছিলেন, গত সপ্তাহে একাধিক বার হোয়াটস্অ্যাপ মেসেজ করে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হচ্ছিল একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর থেকে। সেই ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ আহসানুজ্জামানের নাম জানতে পারে। ধৃত যুবক বি-টেক পড়তেন ভিন রাজ্যের একটি কলেজে। কিন্তু শেষ তথা অষ্টম সেমেস্টার না দিয়েই বাড়িতে চলে আসেন ২০১৭ সালে। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই যুবক হুমকি দেওয়ার কথাস্বীকার করেছেন।
হুমকির কারণ হিসেবে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন, বিধায়কের পরিবারের এক সদস্যকে তিনি পছন্দ করতেন। কিন্তু তাঁর ফোন নম্বর তাঁর কাছে ছিল না। ধৃতের আরও দাবি, গত দু’ বছর ধরে তিনি নাকি তাই জাকিরের ফোনেই তাঁর মনের কথা জানিয়ে আসছিলেন। সেই মেসেজের উত্তর না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়েই নাকি তিনি জাকিরকে হুমকি দিয়েছেন। যদিও পুলিশ তাঁর সেই দাবি খতিয়ে দেখছে।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক আরও জানান, মেসেজের উত্তর না পেয়ে বেশ কয়েক বার অরঙ্গাবাদে জাকিরের বাড়ির আশপাশে ঘুরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কারও সঙ্গে দেখা করতে না পেরে তিনি ফিরে যান। এরপরই বিধায়কের মোবাইলে মেসেজ করে লাগাতার গালিগালাজ ও বোমা মারার হুমকি দেন তিনি।” আহসানুজ্জামানের বাবা ইমদাদুল হক পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক। এ দিন সুতি থানায় স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ছেলে এমন কাজ করায় তিনি বিস্মিত। ইমদাদুল বলেন, ‘‘ছেলে অত্যন্ত অন্যায় কাজ করেছে। আমরা আগে এ সব কিছুই জানতে পারিনি। জানতে পারলে তাকে বোঝাতাম। কারও মেসেজের উত্তর না পেয়ে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া অন্যায়।’’ এ দিন জাকির বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা ঠিক নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy