Advertisement
E-Paper

ভোটের আগে রাতে থানায় অতিরিক্ত কর্মী রাখতে নির্দেশ

পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের মৌখিক নির্দেশে বলা হয়েছে, রাতে থানাগুলিতে ওসি অথবা অতিরিক্ত ওসির পাশাপাশি সার্জেন্ট, এআরও (গুন্ডা দমন শাখার অফিসার)-দের রাখতে হবে।

লালবাজার।

লালবাজার। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ০৭:৪৩
Share
Save

শহরে নির্বাচনের পক্ষকাল আগে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী রাখার নির্দেশ দিল লালবাজার। ডিউটি অফিসার ছাড়াও থানায় অতিরিক্ত বাহিনী রাখার মৌখিক নির্দেশ এসে পৌঁছেছে বলে খবর। নির্বাচনের আগে কোনও ধরনের রাজনৈতিক ঝামেলা বা গন্ডগোল হলে ঘটনাস্থলে যাতে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী পৌঁছতে পারেন, তার জন্যই এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, বাহিনীতে কর্মী-সঙ্কট চলায় এবং জেলার ভোটের জন্য শহর থেকে পুলিশ তুলে নেওয়ায় আদৌ রাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের মৌখিক নির্দেশে বলা হয়েছে, রাতে থানাগুলিতে ওসি অথবা অতিরিক্ত ওসির পাশাপাশি সার্জেন্ট, এআরও (গুন্ডা দমন শাখার অফিসার)-দের রাখতে হবে। এ ছাড়া, নিয়ম মেনে থাকবেন ডিউটি অফিসারও। শুধু পুলিশ আধিকারিক নন, পর্যাপ্ত সংখ্যক কনস্টেবল রাখার কথাও বলা হয়েছে। ভোটের আগে রাতের শহরে টহলদারির পাশাপাশি রাস্তায় নাকা-তল্লাশির উপরেও জোর দেওয়ার কথা বলেছে লালবাজার।

শহরে ভোটের আর মাত্র দু’সপ্তাহ বাকি। রাজনৈতিক দলগুলির সভা-মিছিলে ভোটের উত্তাপ বাড়ছে শহরে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, তত এই উত্তাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতে ভোটকে কেন্দ্র করে হুমকি, মারধরের নানা অভিযোগ করেন বিরোধীরা। অতীতে একাধিক নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে শহরে। কোনও ঝামেলা হলে যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন নিচুতলার কর্মীরা। সেন্ট্রাল ডিভিশনের একটি থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্বাচন যত এগিয়ে আসে, ততই সভা-মিছিলের সংখ্যা বাড়ে। যেখানে শাসক এবং বিরোধী দলের কর্মীদের তৎপরতা তুলনায় বেশি, সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজর রাখতে হয়। সেই মতো রাতে পুলিশকর্মী বেশি থাকছেন। যা পরিস্থিতি, তাতে কাজ করতে করতে দিন-রাত এক হয়ে যাচ্ছে।’’

এমনিতেই কর্মী-সঙ্কট রয়েছে বাহিনীতে। এর মধ্যে চতুর্থ দফায় জেলার ভোট সামলাতে কলকাতা পুলিশের তিন হাজার কর্মী জেলায় গিয়েছিলেন। বিভিন্ন থানা থেকে হোমগার্ড, কনস্টেবল পদমর্যাদার আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের অধিকাংশ ইতিমধ্যে শহরে ফিরেছেন। সপ্তম, অর্থাৎ শেষ দফায় কলকাতায় ভোট। শহরের ভোটের আগে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দফায় ফের বাহিনীর একাংশকে জেলায় পাঠানো হবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় আদৌ রাতে প্রতিটি থানায় কত জন পুলিশকর্মীকে রাখা যাবে, সে প্রশ্ন থাকছেই। লালবাজারের এক কর্তা যদিও বলেন, ‘‘নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে শেষ করতে যা যা করার, তা-ই করা হচ্ছে। সেই মতো থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক ঝামেলা, হুমকির অভিযোগ এলে দ্রুত তদন্তের কথা বলা হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 Lalbazar Police Stations Police Staff Kolkata Police

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}