Advertisement
Back to
Kartik Maharaj Security

ভোট মিটতেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সেই কার্তিক মহারাজ

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর বিতর্কের আবহে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ।

নরেন্দ্র মোদী এবং কার্তিক মহারাজ।

নরেন্দ্র মোদী এবং কার্তিক মহারাজ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বেলডাঙ্গা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ২৩:৪৯
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সূত্র ধরে তাঁর নাম নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। জড়িয়েছেন বিতর্কেও। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সেই সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ) কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতে চলেছেন। সূত্রের খবর, এ বার থেকে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান থাকবেন।

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর বিতর্কের আবহে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। দাবি করেছিলেন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের আশ্রমে হামলা হতে পারে! আশ্রম ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে একটি হুমকি-চিঠিও তিনি পেয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। ভোট মিটতেই তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল। কার্তিক মহারাজ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমার আশ্রমে দু’হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। অভিভাবকেরা এই পরিবেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। আমি তাঁদের কথা ভেবে নিরাপত্তার আবেদন করেছিলাম। আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় অভিভাবকেরা খুব খুশি। আমিও খানিকটা আশ্বস্ত। তবে সন্ন্যাসী মানুষ হিসাবে আমার নিরাপত্তাহীনতা কিংবা বাড়তি নিরাপত্তার কোন লালসা নেই।’’

কার্তিক মহারাজ এবং ভারত সেবাশ্রম সংক্রান্ত ঘটনাপ্রবাহের সূত্রপাত হুগলির গোঘাটে একটি নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যে। মমতা অভিযোগ করেছিলেন, “সব সাধু সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবা‌ই সমান? এই যে বহরমপুরের এক জন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘ্যের তালিকায় তারা দীর্ঘ দিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশটার সর্বনাশ করছে।’’

এর পরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হন মহারাজ। বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। ওই বক্তব্যে তাঁর ‘মানহানি’ হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন কার্তিক মহারাজ। সম্মানহানির চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী ‘অসত্য’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ওই সন্ন্যাসী। গোটা ঘটনায় মমতাকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

অন্য বিষয়গুলি:

Kartik Maharaj Bharat Sevashram Sangha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE