মনোজ টিগ্গার সঙ্গে জন বার্লা। সোমবার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে বার্লার বাড়িতে বৈঠকের পরে। —নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে বরফ গলার ইঙ্গিত। আর তা মিলল ধূপগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার পরের দিনেই। লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের নিজের বাড়িতে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার সঙ্গে সোমবার ‘বৈঠকে’ বসলেন এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। বৈঠকের পরেই জেলা বিজেপির তরফে জানানো হল, আজ, মঙ্গলবার থেকেই টিগ্গার হয়ে ভোট প্রচারে নামতে চলেছেন বার্লা।এ দিন টিগ্গা বলেন, “দুটো বাসনের মধ্যে ঠোকাঠুকি হলে বাসন তো আমরা বাইরে ফেলে দিই না। পাশাপাশিই রাখি। তেমন জনদাও আমার পাশে রয়েছেন। সংবাদমাধ্যম বেশি বাড়াবাড়ি করেছে।”
তবে এর পরেও বিজেপির নিচুতলায় প্রশ্ন, আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হিসাবে টিগ্গার নাম ঘোষণার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে যে ভাবে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বার্লা, প্রচারে নেমেও কি সেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে পারবেন তিনি? বার্লার অবশ্য দাবি, ৪ এপ্রিল (ওই দিন কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা ছিল। সেই সভায় বার্লার সঙ্গে তাঁর কথা হয় বলে জানিয়েছিলেন টিগ্গা) থেকেই টিগ্গার হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি এখনও এই এলাকার অভিভাবক। বিকশিত ভারত গড়তে মোদীজির ‘চারশো পার’-এর লক্ষ্যমাত্রা আমারও লক্ষ্য। সে জন্যই আলিপুরদুয়ারের পাশাপাশি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করতে আমার প্রচার চলছে।”
গত মার্চে কাওয়াখালিতে ও চলতি মাসে কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় টিগ্গার পাশে বার্লাকে দেখা গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু, টিগ্গার সঙ্গে এই কেন্দ্রে তাঁকে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি। তবে সেই সভার পরে টিগ্গা জানিয়েছিলেন, বার্লার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ১০ এপ্রিলের পরে বার্লা তাঁর হয়ে প্রচারে নামবেন। তার পরেই রবিবার ধূপগুড়িতে মোদীর সভায় দলের জলপাইগুড়ির প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের টিগ্গাকেও জয়ী করার জন্য আহ্বান জানান বার্লা। বার্লার সঙ্গে এ দিনের বৈঠকের পরে টিগ্গা বলেন, “মঙ্গলবার থেকেই আমার সঙ্গে যৌথ ভাবে প্রচারে নামবেন জনদা।”
কোন পথে বরফ গলল? গেরুয়া শিবিরের অন্দরের চর্চায় উঠে আসছে, শেষ মুহূর্তে হলেও টিগ্গার হয়ে প্রচারে যে তাঁকে নামতেই হবে, তা জানতেন বার্লা। কারণ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি খোদ জেপি নড্ডা তাঁকে সে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রের আরও খবর, রবিবার ধূপগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভার দিনেও বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বার্লার সঙ্গে এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং টিগ্গাকে ফোন করে সোমবার বার্লার বাড়ি যেতে বলেন।
কিন্তু বার্লা প্রকাশ্যে টিগ্গার বিরুদ্ধে সরব হতেই শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লিউইউ-এর একটা বড় অংশ বিজেপির প্রচার থেকে সরে দাঁডায়। এই পরিস্থিতিতে তারা কী করবে তা নিয়ে চর্চা চলছে। বার্লার অবশ্য দাবি, “পরিবার বড় হলে নিজেদের মধ্যে তু-তু ম্যায়-ম্যায় হয়। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সেটা আমরা মিটিয়ে নিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy